ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি

রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। শুক্রবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

তিনি জানান, আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করবে। ১০ বা ১১ জুন চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং সবশেষে ঢাকায় পালন করা হবে এ কর্মসূচি।

যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, 'দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ স্লোগানে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এটি কোনো বিভাগীয় সমাবেশ নয়।  প্রায় ৪ কোটি ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছি না। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। আজকে আমরা মনে করি, এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ হবে সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী। যেভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র করেছিলেন।

সালাউদ্দিন টুকু বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষকে স্বনির্ভর সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র দিয়েছেন।‌ বাংলাদেশের মানুষকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেজন্য দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে সবার সমান অধিকার থাকবে।

তিনি বলেন, আজ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। সন্ত্রাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিম্মি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সমগ্র দেশবাসী আজ এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত,‌ নিপীড়িত। রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, পেশাজীবী সবাই এ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত। কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সব জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। কাজেই বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী, বসবাস উপযোগী দেশ হিসেবে নির্মাণ করতে চাই। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।