প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২০:৫৪ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ২১:০৭ পিএম
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটে যে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঘাটতির কথা বলা হয়েছে, তা পূরণ করতে গেলে কর ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতারা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ইনু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক দক্ষতা, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের মান ধরে রাখার জন্য সুশাসন নিশ্চিত করা, রাজস্ব আহরণের পদ্ধতি জোরদার করা এবং কর ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে শিরীন আখতার বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার সুদূরপ্রসারী অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় অর্থনীতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা।’
বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ডলার ব্যবস্থাপনাসহ আন্তর্জাতিক লেনদেন সচল রাখা—ইস্যুগুলো বাজেট বাস্তবায়নের পথে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে উল্লেখ করেন জাসদ নেতারা।
তারা বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাত, স্বাস্থ্য, কৃষিতে বরাদ্দ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দুঃখজনক। মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, এসডি কার্ড, স্ক্যানার, প্রিন্টার, সিসি টিভি, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স এখন আর বিলাসী দ্রব্য নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এগুলোর দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী।
তারা বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, সিমেন্ট, কলম, চশমা, কাগজের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও পড়বে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ওপর।