প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২০:৩৭ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ২১:০১ পিএম
নিম্ন প্রবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, সর্বনিম্ন বৈদেশিক মুদ্রার কর্তৃত্বপরায়ণতা, বৈদেশিক চাপের মুখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবি নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত যৌথ প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের ভোটাধিকার, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে আমলানির্ভর এ বাজেটের ধারা অব্যাহত থাকবে। বাজার অর্থনীতির মৌল দর্শন থেকে এ বাজেট বিন্দুমাত্র সরেনি। প্রস্তাবিত বাজেট অব্যাহত থাকলে ধন বৈষম্য, শ্রেণি বৈষম্য, সামাজিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দূর হবে না।
এতে আরও বলা হয়, প্রদত্ত বাজেটে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বাজেটে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্তির নির্দেশনা নেই, বরং জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে; যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে।’
বিবৃতিতে এই বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে প্রণীত বাজেট বড় লোকের স্বার্থই রক্ষা করবে।
বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বিশেষ নির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ জানিয়ে বলা হয়, সাধারণ মানুষের উপার্জিত অর্থই লুট হয়ে যাচ্ছে, অথচ এটি উদ্ধারে কোনো ভূমিকা নেই। এই বাজেটে ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাবে ও আরও নির্ভরতার ঝুঁকি থেকে যাবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সিপিবি নেতারা বলেন, বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হবে। এ বাজেট আয় বৈষম্য, সম্পদ বৈষম্য, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে কোনো ভূমিকা নেবে না, বরং বৈষম্য আরও বাড়াবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ব ও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প স্থগিত, অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানো, প্রতিরক্ষা খাতসহ সরকারি ক্রয় খাতে বরাদ্দ কমিয়ে আনা, সর্বত্র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, বিদেশ ভ্রমণসহ অপ্রয়োজনীয় বিলাসী কার্যক্রম বন্ধ জরুরি। কিন্তু এর কোনো আলামত আমরা দেখতে পেলাম না।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতে বরাদ্দের অতীত অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করে তা সরাসরি ভুক্তভোগীদের কাছে দুর্নীতিমুক্তভাবে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ও বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।