প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে এই ঘাটতি পূরণের কথা বলেছেন। তবে বাসদ নেতাদের শঙ্কা, এতে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে বহুগুণ।
বাজেট প্রস্তাবনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেয় বাসদ।
বাজেটে ঘাটতি পূরণের উপায় হিসেবে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে নিট ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, আর সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাসদের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিলে এসে দেখা গেল প্রয়োজন আরও বেশি। ফলে ব্যাংক ঋণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থ বছরের ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার তুলনায় ২৬ হাজার কোটি বা ২৪ শতাংশ বেশি। এর ফলে ঘাটতি পূরণ হয়তো হবে কিন্তু মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে বহুগুণ।
বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্রে বরাদ্দ তুলনামুলকভাবে না বাড়ার সমালোচনা করে বলা হয়েছে, সেই ৫ শতাংশের ঘরেই থেকে গেল স্বাস্থ্য বাজেট। করোনার আঘাত, চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি, চিকিৎসা ব্যয়ের ৭২ শতাংশ জনগণের নিজেদের পকেট থেকে ব্যয় করার তথ্য জানা থাকার পরও স্বাস্থ্য খাতে কিন্তু বরাদ্দ বাড়ল না উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
শিক্ষাখাতে যে ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার পথে সঙ্গতিপূর্ণ হলো কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন বাসদ নেতারা। কৃষি খাতে ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৪.৬৪ শতাংশ। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দূর হবে না বলে উল্লেখ করেছে বাসদ।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এই বাজেট পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক শোষণমূলক ব্যবস্থার ভিত্তিকে আরও সম্প্রসারিত করবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আরও প্রান্তসীমায় ঠেলে দেবে। বৈষম্য বৃদ্ধি করবে।’