× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দেয়নি, কাউকে দেওয়ার সুযোগও দেয়নি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম

আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ১৭:১৬ পিএম

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে দেওয়ার সুযোগও দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ’মির্জা ফখরুল ইসলাম খালি মাঠে গোল দেওয়ার কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাত দশকের বেশি সময় ধরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সামরিক স্বৈরাচারদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখেছে। আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আমরা কখনও ষড়যন্ত্র অথবা পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করিনি।’ 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’বিএনপি আন্দোলনের নামে তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে উগ্রবাদী অপশক্তির সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। বিএনপির এসব সন্ত্রাসী বাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করে। অথচ এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে গণমাধ্যমের সামনে তারা বিরোধী দল দমনের বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে।’ 

তিনি বলেন, ’সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। এটাই সর্বজনীন নীতি।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ’বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আমলে সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মামলা হয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তাদের সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দায়েরকৃত মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় বলেই প্রচলিত আইন অনুযায়ী দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মামলাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়াকে চিরাচরিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ’বিএনপি একদিকে তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেয়, অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিরোধী দল দমনের তথাকথিত অভিযোগ তোলে। একদিকে তারা গণতন্ত্রে আস্থা না রেখে নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করে, অন্যদিকে সরকারের ওপর দোষ চাপায়। তাদের এই দ্বিচারিতাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বিকাশের প্রধান অন্তরায়।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’মির্জা ফখরুল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কথা বলছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রকাঠামো শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে যদি প্রশ্ন করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে বিএনপি কি কখনও কোনো ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল?’ 

তিনি বলেন, ’বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রহসনের হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনমূলক ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে তারা। ২০০৬ সালে তাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ’আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা