স্থায়ী কমিটির বৈঠক
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩ ০৯:৩৫ এএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩ ১০:১০ এএম
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফটো সংগৃহীত
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এই আন্দোলনের ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিও চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। তবে ঘোষণাপত্রের একটি ২৭ দফা খসড়া প্রস্তুত করেছে বিএনপি, যেটি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দলটির স্থায়ী কমিটির ডাকা বৈঠকে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। গত মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য জানান, গত ১৫ মে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুই সদস্যের যে ড্রাফট কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারা যৌথ ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। এই খসড়াটি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। আজ আবার কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনা করে যৌথ ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও জানান, গণতন্ত্র মঞ্চ যৌথ ঘোষণাপত্রের জন্য ৩৫ দফা খসড়া প্রস্তুত করে আমাদের কাছে দিয়েছে। আমাদের ড্রাফট কমিটি তা ২৭ দফায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চ গত ৮ মে ৩৫ দফা যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়াটি বিএনপির কাছে হস্তান্তর করে। এরপর এটি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা সরকার পতনের ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা অক্ষুণ্ন রাখতে চায়। তারা এজন্য গণতন্ত্র মঞ্চের ৩৫ দফা তাদের ২৭ দফার মধ্যে সমন্বয় করেছে। কারণ, দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ১০ দফা ও ২৭ দফার বিষয়ে এরই মধ্যে জনমত গড়ে উঠেছে। এটি পরিবর্তন করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের দেওয়া ৩৫ দফাকে বিএনপির ২৭ দফায় অন্তর্ভুক্তি মানে কি না, তা-ই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। মঞ্চ চায় বিএনপির ১০ ও ২৭ দফা এবং তাদের দেওয়া ১৪ দফা দাবির পরিবর্তে ভিন্ন কোনো সংখ্যার ঘোষণাপত্র তৈরি করতে। তাদের মতে, পুরো প্রক্রিয়াটি নতুনভাবে জনগণের সামনে এলে আন্দোলন ভিন্নমাত্রা পাবে।