প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩ ২০:২৫ পিএম
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। সংগৃহীত ফটো
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোট করতে পারলে এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হলে আমার দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনে আমি এ নিয়ে দুবার এসেছি। আগেরবারের চেয়ে এবার অনেক ভালো লেগেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা পুরো নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। তারা বলেছেন, তাদের সাধ্যমতো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাসাইল নির্বাচন উপহার দেবেন।’
এখন পর্যন্ত ইসির যে কার্যক্রম এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের অবস্থা আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন প্রথম প্রথম অনেক এলোমেলো কথাবার্তা বলেছে। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, বেশ কিছু দিন ধরে তারা বুঝতে পেরেছেন নির্বাচন কমিশন কী এবং তাদের অনেক এলোমেলো কথা কমে গেছে। আমাদের বাসাইল নির্বাচনে যদি দেখা যায় তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ও ভুলের পরিমাণ কমাতে পেরেছেন, তাহলে বলব উন্নতি হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন হওয়া উচিৎ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। কোন দল অংশগ্রহণ করল, কয়টি দল অংশগ্রহণ করল, এটার চেয়ে আমি মনে করি কতগুলো ভোটার তার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারল, সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।’
সুষ্ঠু ভোটের দায়িত্ব কি শুধু নির্বাচন কমিশনের, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, একটা নির্বাচনকে যথাযথ করার প্রধান দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে আমার কাছে মনে হয় যারা রাজনৈতিক দল, জনসাধারণ, ভোটার ও সরকার; তফসিল ঘোষণার পরে সরকারেরও সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অনেকে তার সেই ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেখাতে পারে, অনেকে আবার পারে না। আমার বিশ্বাস এই কমিশন এখন সেই নেতৃত্ব দেখাতে পারবে।’
দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ’নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার বলে কিছু থাকবে না। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন হলো সরকার, অন্য সরকার কিছু নয়। সরকার হলো তখন আজ্ঞাবহ। নির্বাচনের সময় কোনো দলীয় সরকার থাকে না।’
এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আশ্বাস দিয়েছি আমাদের দায়িত্ব যতটুকু সম্ভব সাধ্য অনুযায়ী পালন করার চেষ্টা করব। আবার এটাও বলেছি, হ্যাঁ, নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্বাচন আয়োজনের একটা বড় দায়িত্ব আছে, একই সঙ্গে আপনারাও যারা দল আছেন, নেতারা আছেন, কর্মীরা আছেন; তাদেরও দায়িত্ব আছে সার্বিকভাবে নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার। খুব প্রতিকূল পরিবেশ যদি বিরাজ করে তাহলে আমাদের জন্য অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।’