প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
ঈদের পর সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘দেশে যত অন্যায় হবে, আমরা প্রতিবাদ করব। ঈদের পরে মানুষ ঢাকায় ফিরবে। তখন রাজপথে এমন মিছিল হবে, এমন আন্দোলন হবে যে সরকারের বুকে কাঁপন ধরে যাবে। সেই আন্দোলনে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও এ সরকারকে বলবে, এবার চলে যেতে হবে।’
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরউদ্দিন পাপ্পু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক সাধনা মহল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম ও ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক সাধনা মহলসহ আরও অনেকে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার এখন ভয়ে আছে, কারণ তারা জানে সর্বস্তরের মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। জনগণ বলছে, এ সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। আগামী নির্বাচনটি সরকার করতে পারবে কিনা, এ নিয়ে বিরাট সংশয়ে আছে সরকার। কারণ, বিশ্ববাসী জেনে গেছে, এ দেশে কোনো ভোটাভুটি হয় না, এ দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।’
বিরোধী দলগুলোকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে চামচা বানিয়েছে। বাপরে তারা (নির্বাচন কমিশন) বিএনপিকে যে কত ভালোবাসে। একবার ডেকেছে আসেনি, বারবার ডাকতে থাকবে। কোনোদিন সাড়া দিবে; সেই কথা আর বলতে পারি না। বলে ওদের (বিএনপির) সঙ্গে যে সহযোগী বন্ধু-বান্ধব যারা আন্দোলন করে ওদেরকেও ডাকব।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সবার (সব দলের) নামও জানে না। সিপিবির কাছে চিঠি দিয়েছে, দলের নাম লিখেছে আরেকটা। এমনই হচ্ছে আজকের এই নির্বাচন কমিশন। এ কারণেই বিরোধী রাজনৈতিক দলরা বলেছে আমরা এ ধরনের ফালতু আলাপ করার জন্য রাজি নই।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো জানেই বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকে আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও তারা দিচ্ছে নির্বাচনে আসার। কারণ বিশ্ববাসীকে তো দেখাতে হবে যে, আমরা তো চেষ্টা করছি যাতে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে পারি। আমি বলব এটার নাম চেষ্টা না, নির্বাচনের নামে ফোর টুয়েন্টি খেলা।’
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোদিনও নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।