গাইবান্ধায় ভোটে অনিয়ম
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
ফাইল ছবি
গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের স্থগিত থাকা উপনির্বাচনে অসদাচরণের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় জানাতে আবারও চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থায় এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের জন্য কমিশন নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে। ওই নির্বাচনে কর্তব্যরত দায়ী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বপালনে অবহেলা তথা অসদাচণের কারণে বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে জানানোর জন্য ২০ ডিসেম্বর চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে এখনও এ সংক্রান্ত চিঠি পায়নি কমিশন।
এমতাবস্থায়, চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে দায়িদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে এ সম্পর্কে ইসি সচিবালয়কে অবহিত করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয়।
গত বছরের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম দেখে ঢাকা থেকে ৫০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি।
এরপর এই ঘটনা তদন্ত করার জন্য কমিটি করে দেয় কমিশন। গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এ ছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন সিইসি। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশের পাঁচজন উপপরিদর্শক (এসআই), নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্টদের কর্তপক্ষকে এই বিষয়ে চিঠি দেয় কমিশন।
গত ৪ জানুয়ারি নতুন করে ওই উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।