× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পরিচ্ছনতাকর্মীদের আইভীর ‘হুমকি’, ক্ষমা চাইলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৪ পিএম

বুধবার নারায়ণগঞ্জের ফতু্ল্লায় এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। প্রবা ফটো

বুধবার নারায়ণগঞ্জের ফতু্ল্লায় এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। প্রবা ফটো

ছয় দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে প্রশ্ন করে, আপনাদের নৌকা মার্কার একজন মেয়রের কাছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়েছিল।আমাদের যে পরিচ্ছিন্নতাকর্মী তারা তাদের কষ্টের কথা বলতে ওই জনপ্রতিনিধির কাছে গেছিল। আমাকে প্রশ্নটা এমন করা হলো যে, ভোটের আগে তো সবাইকে বাপ-মা বলে অভিহিত করেন, ভোটের পরে তুইতুকারী করলেন কেন? তাদের বলা হয়েছে যে, ভাত খাইতে ভাত পাছ না, তুই ফোন পাছ কইথেকা। আমি লজ্জা পেয়েছি। তারা তাদের দাবি নিয়ে গেল সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও মানুষ। সেখানে পুলিশ দিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো।’

বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ফতু্ল্লার বক্তাবলী কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন যার জন্য আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছিলাম। আপনারা সকলে ভোট দিয়ে পাস করিয়েছেন। এখন তিনি আপনাদের চাকরি খাওয়ার হুমকি দেয়। তুই তুকারি আল্লাহ পছন্দ করে না। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। এটার উত্তর আমি দেব না। আমি উত্তর দেই, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে কোথাও কেউ ভাত না খেয়ে নেই শেখ হাসিনার আমলে। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে টাকা নেই, এত বাড়ি কোথা থেকে হলো সে প্রশ্ন কে করবে? আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি তার আদর্শকে চিনেছি। আমি এজন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকলের কাছে ক্ষমা চাই। হাতজোড় করে ক্ষমা চাই।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘যখনই গরিব মানুষের ওপর আঘাত হয়, আমি সেটার প্রতিবাদ করি। সে যেই দলেরই হোক না কেন। একজন রাজনীতিবিদকে যখন পুলিশের পাহারায় থাকতে হয়, তখন আমার মনে হয় তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছেন। পুলিশকে গালি দেন যারা তাদের পুলিশের পাহারায় থাকতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে যে ওসমানীয় সাম্রাজ্য। কেন? আমরা নাকি গুম-খুন করে সাম্রাজ্য কায়েম করেছি। আমরা দখল করে সাম্রাজ্য করি নাই। আমরা সাম্রাজ্য করেছি মানুষের মনের ভেতর জায়গা করে। আমি কোনো ওলি-আউলিয়ার ছেলে না। আমার বাবা কোন ওলি-আউলিয়া ছিলেন না। খেলাফতও পান নাই। সাধারণ মানুষ ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে শামসুজ্জোহা। আমার পিতা দুই বারের এমপি ছিলেন। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি। তা দেবোত্তর সম্পত্তি কিংবা কারো জমি দখল করে করিনি। মানুষের মনে জায়গা করে সম্রাজ্য গড়েছি।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের বাবা ভাই-বোনেদের জন্য এক টাকাও রেখে যান নাই। টাকার অভাবে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করতে পারি নাই। আমার বাবা চাইলে নারায়ণগঞ্জের অর্ধেক কিনতে পারতেন। কিন্তু আমার বাবা কোনো জমি দখল করেন নাই। ভূমিদস্যুতা করেন নাই। স্বাধীনতার পরে আমার বাবা কোনো কিছু লুট করেন নাই। হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি লুট করেন নাই। মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়ে গিয়েছেন। সেটা নিয়েই বেঁচে আছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করা হয়। ত্রিশ বছর আগে হলে জবাব দিলে শহরে থাকত না। যারা গালাগালি করে আমার তাদের প্রতি মায়া লাগে। আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করে। ১৯৯৬ সালে এমপি হওয়ার পর প্রথম আমি এই বক্তাবলী ও আলীরটেকের কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম এই আলোর নিচের অন্ধকারকে আলো বানাব। আজ সকল এলাকা থেকে লোকজন এখান দিয়েই আসে। করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে কিছুটা সমস্যা চলছে। আল্লাহ যদি আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে, আজ যে বক্তাবলীকে উপশহর বলা হয়েছে এই বক্তাবলী ও আলীরটেককে নারায়ণগঞ্জের চেয়ে সুন্দর শহর বানাব।’

এসময় নারায়ণগঞ্জ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সভাপতি এম সওকত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা