৬০ শতাংশ বেশি দামে আদানির বিদ্যুৎ কিনেছে সরকার : গয়েশ্বর

ভারতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে আদানির কাছ থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, ভারতবর্ষের কেউই বিতর্কিত আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে না। ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠান কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। সেসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে আদানির বিদ্যুৎ কিনেছে সরকার।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আদানির সঙ্গে বিতর্কিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাস্তবায়নের পথে। ইতোমধ্যে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে এসেছে। এই ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার মধ্য দিয়ে চুক্তিকে বৈধতা দিয়েছে সরকার।’

মেঘা প্রজেক্টের নামে সরকারি দলের লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে ৬৯ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অথচ এখন টাকার অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। মেঘা প্রজেক্টের নামে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে সরকারদলীয় লোকজন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকা ছিনতাই হচ্ছে। পুলিশ এসব উদ্ধার করতে না পারলেও বিএনপি নেতাদের বিনা দোষে রাতের আঁধারে ঠিকই গ্রেপ্তার করছে।’

শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় দেখাতে চায় মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। জনগণের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ এতটাই দুর্বল যে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ভয় পায়। তাই তারা শান্তি সমাবেশের নামে রাজপথে জনতাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু কোনো লাভ নেই। জনগণের ভয় ভেঙে গেছে। এ সরকারের পতন এখন অনিবার্য।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।