প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৪ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৪ পিএম
গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রবা ফটো
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে তোড়জোড় শুরু করলেও বিরোধী দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হবে।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে পল্টন মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশাল বহর নিয়ে জনগণের টাকায় দেশ বিদেশে ঘুরছেন তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তাতে মানুষের কী লাভ হয়েছে? সরকার যতই তালবাহানা করুক, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছেন কেউ তার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক ওয়াদা করেছেন কিন্তু কখনোই কথা রাখেন না। তার কথায় আর কারো আস্থা নাই। ওনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবিরসহ আরও অনেকে।
সাইফুল হক বলেন, ‘সামনে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা ছাড়া উপায় নাই। সারা দেশের মানুষের কোথাও কোনো নিরাপত্তা নাই, দেশের মানুষকে তারা গ্যাস চেম্বারে তুলে রেখেছে। এই সরকার সারা দেশের মানুষকে বন্ধক রেখে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। এদের পতন নিশ্চিত করতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ক্ষমতার সুষ্ঠু বণ্টন নাই। রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার না করলে আমাদর সংকটের সমাধান হবে না।’
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রাম ব্যাহত করার জন্য সরকার সারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি তৈরি করছে।’
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘১৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে এই সরকারের পদত্যাগ ও একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সরকারের উদ্যোগে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে সাংবিধান সংস্কার করে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের পথে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে সবাইকে অংশ নিতে হবে।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়ছার, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টু, গণঅধিকারের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ খান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, যুবঅধিকারের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ আলম হোসাইন।