× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গণতন্ত্র সম্মেলনের দাওয়াতের পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১২ পিএম

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:২১ পিএম

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের। প্রবা ফটো

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের। প্রবা ফটো

গণতন্ত্র সম্মেলনে কোথায় কাকে দাওয়াত দিল আর না দিল, তার পরোয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমার দেশে আমি গণতন্ত্র ঠিক মতো চালাচ্ছি কিনা, গণতান্ত্রিক নির্বাচন হচ্ছে কিনা, জনগণ গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে কিনা, কথা বলার স্বাধীনতা আছে কিনা, জনগণ হেসে খেলে শান্তিতে আছে কিনা সেটিই সরকারের মুখ্য বিষয়। কে আমন্ত্রণ করলো, কার কোথায় সম্মেলন সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হাজী মোকবুল হোসেন কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে গণতন্ত্রের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতকে তো আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছে। আর এখন আমেরিকা। কত জায়গায় গেলেন নিষেধাজ্ঞার জন্য। কত তদবির করলেন। এলো নিষেধাজ্ঞা? আটলান্টিকের ওপার থেকে লবিং করে করে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারলেন? ডোনাল্ড লু আসলো, সরকারের সঙ্গে কথা বললো। তারপর আসলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে। কি হলো? বিএনপির সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে? দিনরাত পড়েছিল মার্কিন দূতাবাসে। যদি একটা সাক্ষাৎ মেলে। সাক্ষাৎ কি মিলেছে? সাক্ষাৎ হয়েছে? ওখানেই বিএনপির মন খারাপ।

তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এটাই হচ্ছে খবর। তাহলে আমেরিকাও নাই, তাহলে যাবেন কোথায়? বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।

বিএনপির আন্দোলনের নদীতে গণজোয়ার আর আসবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বছর না আগামী বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। এখন বিএনপির মুখে খই ফুটেছে। স্লো মোশন থেকে পদযাত্রা। শর্ট মার্চ থেকে লং মার্চ করবে, সবই ভুয়া। বিএনপি হচ্ছে ভুয়া।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশ বদলে গেছে। দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মন খারাপ।

তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উপর খুশি। বিশ্ব পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্য কিনে কম দামে জনগণকে দিচ্ছি যাতে দেশের মানুষের কষ্ট কম হয়। বিএনপি হলে দিত খাম্বা। তারেক জিয়া খাম্বা ব্যাপারি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাবে। বিএনপি হল নষ্ট রাজনীতির হোতা। এদেশের রাজনীতির বিষফোঁড়া। তাদের কাছে এদেশের মানুষ, গণতন্ত্র,  আইনশৃঙ্খলা নিরাপদ নয়। এরা সুযোগ পেলে মানুষ পোড়াবে, ভাঙচুর করবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে।

তিনি বলেন,  কোনো আপোষ নয়। আওয়ামী লীগ পালায় না। তারেক জিয়া পালায়। আওয়ামী লীগ পালাতে জানে না। কারণ আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির গভীরে।  বিচ্ছিন্ন করা, পতন ঘটানো সম্ভব না। পালাবেন হয়তো আপনারা। আমরা এদেশেই থাকব।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বাংলাদেশ ছিল লুটেরা সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ ছিল। আপনারা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছেন। বিএনপি এই মোহম্মদপুরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আজ মোহম্মদপুরের চেহারা বদলে গেছে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, এজন্য দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। তাদের রুখে দিতে হবে।

ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, যখনই নির্বাচন আসে তখনই অপপ্রচার শুরু করে বিএনপি। বলেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়। নির্বাচনের আর ১০ মাস আছে এই সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পাশাপাশি দলের মধ্যে যারা চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের থামাতে হবে। জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। গত ১১ তারিখে তারা ২৫ জেলায় শান্তি সমীবেশে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগের দায়িত্ব রয়েছে। সেজন্যই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই সভা চলতেই থাকবে। শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে সেটা আমরা বলতেই থাকব। মিছিল করেন, কিছু বলবো না। কিন্তু উল্টাপাল্টা করলে ফাটিয়ে ফেলব।

শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি সাদেক খান, এমএ কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হাবীব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।

এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থায় নেয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীরা স্ব স্ব এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ও দক্ষিণ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা