প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৯:১৫ পিএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪৮ পিএম
১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু । ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ জাতীয় সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবি তুলছেন। কিন্তু যে যত কথাই বলুক না কেন, সংবিধানের বিকল্প কিছু হতে পারে না। নির্বাচন সংবিধান মেনেই অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে, তা ভেঙে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের সেই দিবাস্বপ্ন ভেঙে দিতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরাসরি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার। তবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।
প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আাগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র আরও শক্তিশালী হবে। তাদের মোকাবিলায় দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।
প্রবা/আরএম/এমজে