চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫১ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
হাইমচরের প্রত্যন্ত গ্রামে উঠোন বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রবা ফটো
মেঘনা নদীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল নীলকমল ইউনিয়নে এসে দেখলাম এখানে বিদ্যুৎ আছে। যা কয়েক বছর আগেও ছিল না। এই চরাঞ্চলে কোনোদিন বিদ্যুৎ আসবে তা বিশ্বাস করতে পারি নাই। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে আজ বিদ্যুৎ দেখা যাচ্ছে, এটাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন- এমনটাই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল নীলকমল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে উঠোন বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
উঠোন বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় দীপু মনি বলেন, ‘আজকে হাইমচরের চরাঞ্চলের চেহারা পাল্টে গেছে। মেঘনা নদী যেই উপজেলাটিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, সেই বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে গেছে। আজকে নীলকমল ইউনিয়নে এসে দেখলাম এখানে বিদ্যুৎ আছে। এই বিদ্যুৎ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে শরীয়তপুর থেকে আনা হয়েছে।’
তিনি ওই এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু হাইমচরকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা নয়। এখন পর্যন্ত তিনি তার প্রতিটি ওয়াদা রক্ষা করে চলেছেন। হাইমচরে অর্থনৈতিক জোনের কাজ এগিয়ে চলছে। নীলকমল ইউনিয়নের গাজীপুরের চর থেকে মধ্যচরের মাথা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার বাঁধও হবে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা হাইমচরবাসীকে কথা দিয়েছিলেন যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আওয়ামী লীগ সরকার হাইমচরবাসীকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে। শেখের বেটি যে কথা দিয়েছেন সে কথা রেখেছেন। হাইমচরে স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
এ উঠোন বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটওয়ারী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, উপদেষ্টা এসএম সালাউদ্দিন, জেলা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী প্রমুখ।