প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:১০ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:১৮ এএম
একেএম রহমতুল্লাহ। সংগৃহীত ফটো
নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী উল্লেখ করে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ দাবি করেন, তার পকেটে দুই কোটি ভোট আছে। সারা দেশে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট। আহলে হাদিসের প্রায় ৩০ জন এমপি আছেন। অনেকে পরিচয় দেন না বলেও জানান ঢাকা-১১ আসনের এই এমপি। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
নিজেকে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোটের চিফ অ্যাডভাইজার দাবি করে রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে সভাপতি করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে আমি কমিটি বানিয়ে দেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। তারা কোনোদিন জামায়াত করে না। আহলে হাদিস হলো একমাত্র আমি, যেদিকে যাবো, সেদিকে থাকবে।’
একটি পত্রিকার প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এক-এগারোর পর কারা পালিয়েছিল, মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব, তুমি তো ধাক্কা দিয়ে মানুষকে ফেলে দিতে চাও।’
রহমতুল্লাহ আরও বলেন, ‘এক-এগারোর সময় আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে আসি। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমাকে বললেন, রহমতুল্লাহ, ঢাকায়তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) নাই, আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নাই। আপনি না গেলে সাহারা কি কোনো লোক জোগাড় করতে পারবে? তখন আমি এসে একদিনে সব ব্যবস্থা করি।’
‘যেহেতু আমি অনেস্ট লোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি, উন্নয়ন করেছি, আমি এসে কেমনে কেমনে দুই লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসেপশন দিলাম। আপা বললেন, এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন! আমি বলেছিলাম, আমি পারি।’
মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে মিনিস্টার করলেন না কেন? আমাকে মেয়র সেধেছেন। মিনিস্টার করতে চেয়েছেন।’
একপর্যায়ে স্পিকার বলেন, ‘আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী?’ এ সময় তিনি স্পষ্ট কিছু না বলে বলেন, ‘দৈনিক প্রতিদিন, এখানে ফখরুল বলেছেন, এক-এগারোর পর কারা পালিয়েছিল, মানুষ জানে। এটা মিন করছে আমাদের। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।’