প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম
ফাইল ফটো
গ্যাস ও বিদ্যুতের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে উল্লেখ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা বলেছেন, সেই অনিয়ম-অন্যায়ের প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দিতে সরকার গণগ্রেপ্তার চালু করে দেশকে একটি বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি ও ফোনে আঁড়িপাতার অভিযোগে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের (মাহবুবুল) নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান সমাবেশে যোগ দেন।
সাত বাম দলের জোট ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা গত ২১ জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে।
শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের সুযোগে ধনিক শ্রেণি গরিব মানুষকে শোষণ করছে। সরকার সেই শ্রেণিকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকতে জনগণের ওপর তীব্র নির্যাতন চালাচ্ছে। আজকে মানুষের মুক্তমত বলতে কিছু নেই। সরকার বিরোধী মত দমনে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। তারা সরকারকে পরিণত করেছে বৃহৎ কারাগারে।’
নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু বলেন, এই সরকার জনগণকে ভয় পায়, যদি আবারও তারা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে? তাই তারা একের পর এক কালাকানুন করে জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, ফোনে আঁড়িপাতা শুরু করেছে।’
‘দেশে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয় তখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। এ সরকার দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে, দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। দেশের অর্থনীতি চাঙা করতে হলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে’ বলেন শহীদুল ইসলাম।
মাসুদ খান বলেন, এই সরকার সংবিধানের তোয়াক্কা করে না বলে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করতে ফোনে আঁড়িপাতা শুরু করেছে। তারা আইনের শাসন, গণতন্ত্রের কথা বলে আদতে জনগণকে ধোঁকা দেয়।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দিলেই জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। নিয়মমাফিক নির্বাচন আয়োজন করে সেই সংকটের সমাধান হবে না। কেবল ফ্যাসিবাদী শাসনব্যস্থার পতন হলে দেশ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে।