প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৮ পিএম
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১১ পিএম
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যোগ দেবে গণফোরামের একাংশ।
নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছে গণফোরামের একাংশ।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর গণফোরাম কার্যালয়ে দুই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে এ ঐক্যমত হয়।
বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, আবদুল হাসিব চৌধুরী ও আইয়ুব খান ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ব্রিফিংয়ে বলেন, `আগামী ১১ জানুয়ারি যুগপৎ আন্দোলনের দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিন গণফোরাম এই কর্মসূচি পালন করবে বলে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এই সরকারের পতন করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেব। তারপর দেশের মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। এ লক্ষ্যে আমরা আন্দোলনে রয়েছি, আশা করি আমরা এই আন্দোলনে জয়লাভ করব।’
টুকু বলেন, ‘এ সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী যেসব দল রয়েছে, তারা ব্যতিত সব দল এ সরকারের পরিবর্তন চায়। একটি নিরপেক্ষ সরকার চায়, যার মাধ্যমে ভোটাধিকার ফিরে আসবে এবং যার ভোট সে দিতে পারবে। সে ব্যাপারে আমরা ঐক্যমত হয়েছি।’
গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা আজ থেকে চলমান আন্দোলনের শরিক হলাম। আগামীতে সব জাতিকে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের আন্দোলন একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আজকে যে সরকার আমাদের মাথার ওপর চেপে বসেছে, এর হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে কোনো বিকল্প নেই।’
২০১৪ এবং ১৮ সালের যে নির্বাচন হয়েছে, এরপর এই সরকারের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন কেউ কখনো আশা করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।
তাই চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে, জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে, জনগণকে ক্ষমতায়ন করার জন্য আন্দোলন করছেন বলে জানান তিনি।
১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ড. কামাল হোসেন গণফোরাম গঠন করেন। কিন্তু রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জোট করে আবারও আলোচনায় আসে গণফোরাম। তবে নির্বাচন শেষে বিএনপি আর এই জোটকে এগিয়ে নিতে না চাইলে গুরুত্ব হারায় গণফোরাম।
সে সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুসহ তার অনুসারীরা মতবিরোধের জেরে নতুন কমিটি করেন। তাতে দুই ভাগ হয়ে যায় গণফোরাম।