× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইসলামের পক্ষে এক বাক্সে ভোট চাইলেন চরমোনাই পীর

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫ ২১:০৩ পিএম

মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। তাই ইসলামের পক্ষের সব ভোট দিতে হবে এক বাক্সে। পিআর নিয়ে গণ-ঐকমত্য তৈরি হয়েছে; পিআর প্রশ্নে গণভোট দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে ভোট হলে অন্যান্য ধর্ম ও বিভিন্ন মত-পথের লোকজনও সংসদে যেতে পারবেন। শনিবার (২৮ জুন) বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের’ দাবিতে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে অংশ নিতে শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও পিকআপে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসেন। ব্যানার-ফেস্টুন ও দলীয় প্রতীক হাতপাখা নিয়ে মিছিল-স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় সমাবেশের মূল পর্ব শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা বক্তব্য রাখেন। নেতাকর্মীর বিস্তৃতি আশপাশের এলাকা রমনা পার্ক, মৎস্য ভবন, শাহবাগ ও টিএসসি মোড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।

চরমোনাই পীর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। জুলাইকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। দেশের সব মানুষের ভোটের দাম সমান। কারও ভোট যাতে অবমূল্যায়ন না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যে দল যতো শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের সেই অনুপাতে আসন থাকবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার মতের প্রতিফলন ঘটবে। কোনও দল জালেম হওয়ার সুযোগ পাবে না। এটা তরুণ প্রজন্মেরও দাবি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সব ধর্মের মানুষেরও দাবি। আজকের মঞ্চ এটা আবারও প্রমাণ করেছে। 

বাহাত্তরের সংবিধানকে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণ দাবি করে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান ছিল দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী। সেই সংবিধান রচয়িতাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার ম্যান্ডেটই ছিল না। তারা ভিনদেশের সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল। এতো জনসমর্থন নিয়ে আর কোনও সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। আমরা নিঃস্বার্থভাবে এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে অঙ্গীকার নিয়ে আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকুন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না। নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করুন। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

রেজাউল করীম বলে, মৌলিক সংস্কার নিয়ে গড়িমসি বিশ্বাসঘাতকতা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগী মনোভাব চাই, চোখ রাঙানি চাইনি। তিনি জুলাইয়ের খুনিদের জেলের বাইরে থাকাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেন।

সমাবেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান এমন দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নেজামে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ছিলেন সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিরাও

মহাসমাবেশে অন্য ধর্মের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক মহাসচিব, বোধিজ্ঞান ভাবনাকেন্দ্রের সভাপতি দয়াল কুমার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি নির্মল রোজারিও।

মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ ইফতেখার তারিক ও  সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, মুহাদ্দিস আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলান গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মুফতি এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের ও মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা