প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৩০ পিএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২৪ পিএম
ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। ছবি : প্রবা
সমাবেশস্থল নিয়ে আলোচনার জন্যই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া বুধবারের সংঘর্ষের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।
নানা কারণে সমাবেশ রাজধানীর বাঙলা কলেজ মাঠেই করতে হবে বলেও জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এ দুই নেতা গ্রেপ্তার বা আটক নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এটা শেষ হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
সমাবেশ কোথায় হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির কমলাপুর স্টেডিয়ামের প্রস্তাবটা আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে এখন ক্রিকেট খেলা চলছে। সেখানে নিচে অনেক সিনথেটিক জিনিসপত্র রয়েছে। এ অবস্থায় সমাবেশ করলে মাঠটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা সমাবেশ করবে মিরপুর বাঙলা কলেজে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে আরও একটি মাঠের প্রস্তাব এসেছে। সেটা হলো গোলাপবাগ মাঠ।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এ মাঠ নিয়ে কোনো কথাও হয়নি। কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপির গণসমাবেশের মাঠ হবে মিরপুর বাঙলা কলেজ।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের শীর্ষস্থানীয় এ দুই নেতাকে তাদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির বলেন, ‘ডিবি পুলিশ সদস্যরা রাত ৩টার দিকে উত্তরার বাসায় এসে বলেছেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তারা মির্জা ফখরুলকে আটক করছেন।’
প্রায় একই সময়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন শায়রুল।
৯টি বিভাগীয় সমাবেশ শেষে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলার মধ্যে বুধবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ও সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা বাড়ে।