প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫ ২০:৩৯ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে ব্যাপক বিরোধীতা দেখিয়েছিল এবং ভবিষ্যতে তারা ক্ষমতায় গেলে এ বিষয়গুলো সংস্কার করবেন বলে প্রস্তাবনা রেখেছিল। কিন্তু আজকে মনে হয়েছে, আলোচনা সভায় কিছু রাজনৈতিক দল এনসিসি গঠনের বিষয়ে বিরোধিতা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিসির বিষয়ে কোনো বিকল্প প্রস্তাব তারা দেয়নি। যারা এটার বিরোধিতা করেছেন তারা যেন একটা বিকল্প প্রস্তাব দেয়। তা না হলে গণঅভ্যুত্থান ও সংস্কার কমিশন ব্যর্থ হবে।’
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার তৃতীয় দিন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ছাড়াও আজকের বৈঠকে আরও অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, এবি পার্টি, এনডিএমসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, এবং জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন রেখেছিলাম দুর্নীতি দমন কমিশন নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলো বিগত সময়ে দলীয় করণ হয়েছে এবং বিরোধী দলমত দমনে ও ভোটাধিকার হরণেও তারা ভূমিকা রেখেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের উপায় হিসেবে সংস্কার কমিশন প্রস্তাবনা করেছে, একটা এনসিসি বা কাউন্সিল প্রয়োজন। যেখানে নিরপেক্ষতা ও আস্থার ভিত্তিতে আমরা নিয়োগগুলো করতে পারব। আজকের ঐকমত্য কমিশনের সবা হতাশার উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে আজকের দিনটা হতাশার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছিলাম এনসিসির বিষয়ে নীতিগত ঐক্যে আমরা আসতে পারব, যাতে করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঐক্যমত আস্থা ভিত্তিতে নিরেপেক্ষ ও নিয়োগ হবে। একদলীয়ভাবে আগের মত প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়োগ হবে না। কিন্ত সেই ঐকমত্য হয়নি। এনসিসি গঠন না হলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আগের নিয়মে চলবে বলে শঙ্কা ও সংশয় তৈরি হয়েছে।’