বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫ ২০:২৭ পিএম
শনিবার বিকালে ঢাবি রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ। প্রবা ফটো
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
বিক্ষোভে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দুই হাজারেরও অধিক মানুষকে হত্যা করতে পারে, সেই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার জন্য দুই লাখেরও অধিক আমাদের বিপ্লবী ভাই-বোনদের হত্যা করতে ন্যূনতম কুণ্ঠাবোধ করবে না।
তিনি আরও বলেন, বিপ্লবী ছাত্রজনতা যারা ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান দিয়ে এ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, প্রশাসন লীগের বিরুদ্ধে বুক চেতিয়ে রাজপথে লড়াই করেছিল তারা এ বক্তব্য (উপদেষ্টার বক্তব্য) প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর নিন্দা জানাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নাই আপনার। তাহলে কীসের পরিকল্পনা আছে আপনার? এ রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে আপনারা সেখানে বসেছেন। দিল্লির নির্দেশে আগামীতে এ দেশে নির্বাচন হবে, সেজন্য কি আপনাদের এখানে বসানো হয়েছিল?
বিন ইয়ামিন বলেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম করে গেছে, এরপরেও কীভাবে আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছে, বাংলাদেশের বিজয় না কি ইন্ডিয়ার বিজয়। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী থেকে শুরু করে এর তৃণমূল পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মীকে দেখেছেন এর প্রতিবাদ করতে? দেখেন নাই। তারা প্রতিবাদ করেনি। এর মানে, তারা তো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল নয়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে ধারণ করে না। সুতরাং এ বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।
একটা গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে বিন ইয়ামিন বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বলব, আপনাদেরকে যদি কেউ অন্ধকারে ঢিল মারতে বলে আপনারা ঢিল মারবেন না। কারণ অন্ধকারে ঢিল মেরে অনেকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে। আমরা দেখেছি, একজন সমন্বয়ক নেতা সরাসরি স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমি বাংলার কোটি কোটি মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনারা দেখেছেন এরকম কোনো বৈঠক হয়েছে। কোনো প্রমাণ আছে? তাহলে কেন আমরা সেটার ওপরে বিশ্বাস রাখব। কারো পোস্টকে কেন্দ্র করে দেশের জনগণকে অন্ধকারে ঢিল মারতে বলা হলো, আর সেন্সেটিভ একটা জায়গা ক্যান্টনমেন্ট-সেনাবাহিনী, তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উসকে দেওয়া হলে- আমরা সেটাকে সমর্থন করতে পারি না। বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের পক্ষে ছিল, বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও আমরা বিপ্লবী সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনার জনগণের পক্ষে থাকবেন। গণহত্যাকারীদের পক্ষ আপনারা নেবেন না। রাজনীতি কারা করবে, নির্বাচন কারা করবে, নির্বাচন কবে হবে- এগুলো ঠিক করার দায়িত্ব ক্যান্টনমেন্টের নয়। আমরা ক্যান্টনমেন্টের কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রকম কোনো বক্তব্য পাইনি। সুতরাং কেন আমরা তাদের দিকে আঙুল তুলব?