× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘তারেক রহমান ১৬ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৪ পিএম

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৬ পিএম

হিফজুল কোরআন ও কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো

হিফজুল কোরআন ও কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর তারেক রহমান আন্দোলন করে এই বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। আন্দোলন যখন শুরু হলো তার নেতৃত্বে ছাত্রদলের বীর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে গুম করা হলো। শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আজকে যিনি প্রধান অতিথি (মামুনুল হক), ওনাকেও গুম করতে চেয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ছাত্রদলের আয়োজনে ‘হিফজুল কোরআন ও কোরআন তেলাওয়াত’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাবছিল প্রতি পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হবে, দিনের ভোট রাতে হবে। এখন ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া হলেন । শত শত জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের, সর্বশেষ ছাত্র- জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ। যে কথাটি বলেছিলেন আরও ৪-৫ বছর আগে তারেক রহমান। তিনি (তারেক রহমান) বলেছিলেন, দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। হয়েছে কি না বলেন। তারেক রহমানের সুদূরপ্রসারী সেই চিন্তার কথাই আজ প্রমাণিত হলো।

আমান বলেন, তারেক রহমানের গায়ে কিন্তু রক্তের কালো দাগ ছিল এরশাদের পেটোয়া বাহিনী দ্বারা। বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে এরশাদ তাকে মৃত্যুর পথে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পেছাননি খালেদা জিয়া। তিনি বলেছিলেন, আমার ছাত্র হত্যা করেছে, আমার ড. মিলনকে মেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের সকল ছাত্ররা আমার সন্তান।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকটকালে কারা নেতৃত্ব দিয়েছে আজকের এ প্রজন্মকে জানতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন বাংলাদেশ হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হলো ২৫ মার্চ ১৯৭১ এ, বাংলাদেশের মানুষ দিগ্বিদিক পাচ্ছে না কোথায় যাবে, কী করবে, কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সময়ে একাত্তর সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হলো। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। লাখো শহীদের বিনিময়ে আমরা পেলাম স্বাধীনতা।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্ব এবং সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খিলাফত মজলিশ আমির আল্লামা মামুনুল হক। তিনি বলেন, অনেকে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় বিচার করে, আমি মনে করি এটা অনেক বড় অবিচার। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোনো ইসলামিক রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তবে এ দুটোর মধ্যে ঐতিহাসিক অনেক ব্যবধান আছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি এদেশের রাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনা করি, তাহলে আমরা সবসময়ই এদেশে দুটি ধারা লক্ষ্য করি। সেই অবিভক্ত ব্রিটিশ আমল থেকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এসেছিল, যখন ঢাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গের উত্থানের ঘোষণা এসেছিল, যখন মুসলিম জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এসেছিল, তখন এ বঙ্গ অঞ্চল থেকে কিছু মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল। তারা ঢাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বাংলার উত্থানকে ঠেকিয়ে দিতে চেয়েছিল, যারা মুসলিম জাতিসত্তার বিরোধী ছিল। সেই ঐতিহাসিক ধারা ব্রিটিশ আমল থেকে চলে এসেছে। এভাবে দুটো ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সংঘাত চলেছে, লড়াই চলেছে। একটি ধারা ছিল পূর্ববঙ্গকেন্দ্রিক, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ তথা মুসলিম জাতীয়তাবাদের তথা মুসলিম জাতিসত্তা গঠনের যে ঐতিহাসিক ধারা- এই ধারায় যারা রাজনীতি করে, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সেই ধারার প্রতিনিধিত্ব করে।

আবু তালেব ও আবু জাহেলের উদাহরণ টেনে মামুনুল হক বলেন, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ কেউই ইসলামী রাজনীতি করে না, বরং তাদের রাজনীতির ভিন্ন দর্শন রয়েছে। ঠিক যেমন আবু জাহেল এবং আবু আবু তালেব- কেউই ইসলামের অনুসারী ছিলেন না। কিন্তু কেউ যদি আবু জাহেল এবং আবু তালেবকে এক পাল্লায় মাপে তার চেয়ে বড় জাহেল আর কেউ হতে পারে না। তিনি বলেন, আমি মনে করি ইসলামী রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি আবু তালেবের ভূমিকায়, আর আওয়ামী লীগ আগাগোড়ায় আবু জাহেলের ভূমিকায়।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আজ থেকে যারা ২০ বছর আগে জন্ম নিয়েছে, তারা ভালো কোনো রাজনীতি দেখেনি। বিগত বছরগুলোতে ক্যাম্পাসভিত্তিক যে রাজনীতি তৈরি হয়েছিল তা কোনোভাবেই ভালো রাজনীতি হতে পারে না। এই রাজনীতি পুরো কাঠামোকেই ধ্বংস করে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মেধার ভিত্তিতে ছাত্রদল ছাত্র রাজনীতি করে যাচ্ছে বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ তাদেরকে দেশনায়ক তারেক রহমান যেভাবে পজিটিভ ওয়েতে নির্দেশনা দিচ্ছেন, তার ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৬ বছর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে রয়েছে, এই অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা