× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দ্রুত নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে : তারেক রহমান

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪ পিএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং চলমান সমস্যার তীব্রতা কমতে শুরু করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন যে, নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যা সমাধান হবে। আমরা মনে করি, নির্বাচন হলে একটা স্থিতি অবস্থা আসবে এবং ধীরে ধীরে সংস্কার কাজ শুরু হবে, তাতে সমস্যার তীব্রতা ধীরে ধীরে কমা শুরু করবে। নির্বাচন হলে সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মানুষ দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, তারা আলোচনা করবেন, কাজ করবেন। একদিনে কিছুই পরিবর্তন হবে না, কিন্তু সম্ভাবনা শুরু হবে।’

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বার আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। 

বিকালে ঢাকা বার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগ ঢাকা বার সমিতির ভবনের মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষনের এই কর্মশালা হয়। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথা-বার্তায় থেকে মনে হচ্ছে- তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সম্ভবত তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা হলেও বিচ্যুত হচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষ- বিভিন্ন ব্যক্তির স্টেটমেন্ট থেকে বিভিন্ন রকম কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। মানুষ বিভিন্নভাবে কনফিউজড হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে রাজনীতিতে যখন কনফিউশন থাকবে তখন অস্থিরতা দেখা দেবে। আমাদের এই অস্থিরতার কারণে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হবে। কারণ যখনই রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যদি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে আমরা যে যত সংস্কারই ঘোষণা করি না কেনো, যে যত নীতি গ্রহণ করি না কেনো কোনটাই সফল হবে না।

তারেক বলেন, দেশের রাজনীতি অস্থির হলে এর প্রভাব গিয়ে পড়বে অর্থনীতিতে। অর্থনীতি অ্যাফেক্ট করবে সব কিছুতে-এমনকি আপনারা যারা আইন পেশাতে আছেন আপনার পেশাকেও অ্যাফেক্ট করবে খুব স্বাভাবিকভাবে। একজন ক্ষুদ্র মুদি দোকানি, একজন রিকসাচালক, একজন সিএনজি চালক, একজন মাঝারি ব্যবসায়ী যে কারো কথাই বলি না কেনো প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অ্যাফেক্ট করবে এবং প্রতিটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ আমাদের সবার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশকে আগামীদিনে যত দ্রুত সম্ভব স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা। আমরা যখন দেশকে স্থিতি অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসব সারা পৃথিবীতে যেটি গ্রহণযোগ্য বিষয় যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বলুন বা রাজনৈতিক আলোচনা বলুন, রাজনৈতিক তর্ক-বির্তক বলুন সেটিকে সংসদের মধ্যে নিয়ে আসা। সংসদই হচ্ছে সবচেয়ে মূল জায়গা যেখানে আলোচনা সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেনো সেটি সংসদের ভেতরে হয়ে থাকে। আমরা একটি সংসদকে কার্যকর করতে দেরি করব এই অস্থিরতা, এই তর্ক-বিতর্ক সবকিছু সংসদের বাইরে চারিদিকে ছড়াতে থাকবে এবং সংসদের বাইরে যত বেশি এটি ছড়াবে তত সব জায়গায় বিভিন্নভাবে অর্থনীতি থেকে শুরু করে, সামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে সকল জায়গায় অস্থিরতা দেখা দেবে যা সামগ্রিকভাবে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা প্রনয়ণ হওয়ার বিষয়টি আইনজীবীদের সামনে তুলে ধরে এই ৩১ দফার বুকলেট জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

তারেক রহমান বলেন, যেসময় কেউ সাহস করেনি সংস্কারের কথা তুলতে, স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে বলতে যে এই এই বিষয়ে সংস্কার করা দরকার, তখন বিএনপি ও রাজপথের আন্দোলনের কিছু দল মিলিতভাবে আমরা ৩১ দফা দিয়েছিলাম। আজকের অনেক ব্যক্তি সেসময় সংস্কারের ‘স’ এর ধারে কাছে ছিলেন না। কিন্তু বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সেদিন ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন,আমাদের ৩১ দফার উদ্দেশ্যই ছিল কীভাবে দেশ ও দেশের মানুষের অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়। এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের সুযোগ যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পায়, তাহলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি, অন্তর্র্বতী সরকারের ৬টি কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ দিয়েছেন। মিলিয়ে দেখলে দুটোর মধ্যে খুব একটা তফাৎ দেখা যায় না। কিছু পার্থক্য থাকলেও, মূল বিষয়গুলোর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ৩১ দফা শুরু আমাদের নয়, বাংলাদেশের জনগণের একটি বৃহৎ অংশের মতামতের প্রতিফলন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোভেট খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, বিএনপি মিডিয়া সেলের মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ঢাকা বারের অ্যাডভেকেট খোরশেদ মিয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা