রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২৪ এএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৭ এএম
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। প্রবা ফটো
অন্তর্বর্তী সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমরা করুণার পাত্র নই। যদি আমাদের করুণার পাত্র মনে করে থাকেন, ওপেন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা দিলাম। আসুন, আমাদের মোকাবিলা করে দেখুন। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলি- এ দেশে আমরা ইসলাম নিয়ে বাঁচব। ইসলামের গৌরব নিয়ে বাঁচব।’
তিনি বলেন, ‘মব জাস্টিসের কথা আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজপথে রক্ত দিয়ে আজ এই পর্যায়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা কারও করুণার পাত্র নই।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দলটির রাজশাহীর গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই গণ-সমাবেশের আয়োজন করে খেলাফত মজলিসের জেলা শাখা।
ইসলামের বিপক্ষের শক্তিই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২৫০ বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে বাংলাদেশ এবং ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। যদি দেশে ইসলাম না থাকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। যারা ইসলামকে সহ্য করতে পারে না, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।’
ভারতকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবার আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, এ দেশের মানুষ সহনশীল কিন্তু দুর্বল নয়। বাংলাদেশে শত শত খুনের আসামিদের ভারত আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। তাদেরকে মধুর মত রেখেছে। ৭১ এর মত ২৪ এর বিপ্লবকে ছিনতাই এর ষড়যন্ত্র চলছে; এই অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও দলের নেতাকর্মীদের কথা ভাবেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিভাজনের রাজনীতি জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে আর সেজন্য হাসিনা আওয়ামী লীগকে তিলে তিলে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশকে ভিন দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল হাসিনা। তার রাজনীতির মূলনীতি হলো বিভাজনের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। তিনি আওয়ামী লীগকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন দেশে আর কেউ আওয়ামী লীগের নাম মুখে নেবে না। কোনো আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারবে না।’
৭২ এর সংবিধানকে কেন্দ্র করে ভারতের দালালি গড়ে উঠেছিল উল্লেখ করে মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ‘দেশের মানুষ কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ চায়নি। ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শে শেখ মুজিব ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে সংযুক্ত করে স্বাধীনতা হাইজাক করেছিলেন।’