প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। এছাড়া আগামী ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা হলো-
১. জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২. জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩. ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।
৪. জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৫. বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।
মো. রাশেদ খান বলেন, আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবেও সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর পর আওয়ামী লীগ একবার গণহত্যায় মেতে ওঠে, পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে দ্বিতীয়রের মতো গণহত্যা পরিচালনা করে হিটলারের নামের সঙ্গে নিজেকেও সারা দুনিয়ার কাছে গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দেশের জনগণ চায় না আওয়ামী লীগের ব্যানারে ৩য় বার গণহত্যার সুযোগ থাকুক।