প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১১ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬ টায় মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল বৈঠক করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (উপদেষ্টা) বলেছেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য তারা কাজ করছেন।’ আমরা আশা করব অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। জনগণও প্রত্যাশা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে আমরা কোনভাবেই একমত হব না। আমরা খুব পরিষ্কার করে আগেও বলেছি, এখনও বলছি যে জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।’
কবে নাগাদ রোড়ম্যাপ ঘোষণা দিবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এটা উনারা (সরকার) দিবেন। ১৫ তারিখের মধ্যে উনারা কিছু একটা বলতে যাবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে যেগুলো উদ্বেগের বিষয় সেগুলো তুলে ধরেছি। বৃহত্তর দল হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ব ছিল সেটি পালন করেছি। সম্প্রতি যে ঘটনা গুলো ঘটেছে, এগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ রাষ্টীয় যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, বাহিনীগুলোর সামনে ঘটনা ঘটেছে। এতে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি বা স্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে বিপন্ন করেছে। এসব প্রক্রিয়ার কারণে ফ্যাসিবাদকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’
অন্তবর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য তাগাদা দিয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছি। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর, যারা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের তাদেরকে আইনের আওতায় এনে এবং পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। সেই সাথে যারা দেশের অর্থনীতি লুণ্ঠন করেছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও শাস্তির দাবি করেছি।
তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের মামলাগুলো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, এগুলো প্রত্যাহারের দাবি করেছি। তারা এপ্রুভ করেছেন নৈতিকভাবে। আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান ব্যর্থতা হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। এ ব্যাপারে সরকার আমাদেরকে বলেছে, তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
অপারেশন ডেভিল হান্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সরকারপ্রধানকে বলেছি এ ধরনের অভিযান আগে হয়েছিল। তবে কোনভাবেই ইনোসেন্ট কোন মানুষই যেন আক্রান্তের শিকার না হয়। এ বিষয়ে যেন কোন সমস্যা তৈরি না হয়।