প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৪০ এএম
ছবি: সংগৃহীত
তিন শিক্ষার্থীকে আটকের জেরে রাজধানীর উত্তরার দুটি থানা ঘেরাও, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধর করেছে তাদের সহযোগীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রথমে উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাও এবং পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা ও দায়িত্বরত পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরে উত্তরা পশ্চিম থানার এএসআই মহাদেব আহত হয়েছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, ‘ওই ছাত্রদের আটকের পরে তাদের ছাড়িয়ে নিতে এই হামলা চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ওই তিন শিক্ষার্থীকে ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। থানায় হামলার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবির ছাত্র আসিফুল হক রবিন বলেন, ‘আমরা উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের তালিকা করছিলাম। ওই সময় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আবু সাঈদ আমাদের আটক করেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নামে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়েছে। রবিন আরও বলেন, আমরা রিস্ক নিয়ে ছিনতাকারী ধরিয়ে দিই। অথচ ক্রেডিট নেয় উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান। আবার সেই ওসিই আমাদের অভিযুক্ত করে ধরিয়েছিলেন।’
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। পুলিশ ওই মিটিং থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের তিন সহপাঠীকে পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তাদের উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে উত্তরা পূর্ব থানায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী, উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আলোচনায় বসে পুলিশ। আলোচনার পর পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন শিক্ষার্থীরা।