প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৪ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচারের দুঃশাসনের ভয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা বইমেলায় আসতে পারিনি। আমাদেরকে আসতে দেওয়া হয়নি। আমাদের জন্য এই স্থানটি ছিল ভীতি, আতংক ও শঙ্কার। মনের বাসনা থাকা স্বত্তেও সেই বাসনাকে আমরা অবদমিত রাখতাম ফ্যাসিবাদের ভয়ে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জিয়া পরিষদের স্টল উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনে এক ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের গুণগান যখন বইয়ে ছাপা হতে থাকে তখন সেই সমাজটি কলুষিত সমাজ ও বন্ধ্যা সমাজে পরিণত হতে পারে, এবং তাই হয়েছে। ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত একজন ব্যক্তি, তার পরিবার ও তাদের কথাই, তাদের কাহিনীই পড়তে হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এটা ভাবাই যায় না, চিন্তাই করা যায় না। যারা ইতিহাস নির্মাণ করেছে তাদের কথাই থাকতো। সেখানে এক ব্যক্তির নয়, অসংখ্য মানুষের কথা থাকতো। কিন্তু বাংলাদেশকে একমাত্রিক করার জন্য সব চেষ্টা সেখানে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজটা হয়ে গিয়েছিল একটি লুটপাটের সমাজ ও টাকা পাচারের সমাজ। টাকা পাচার হচ্ছে অর্থনীতির ক্ষতিকর টিউমার। এই দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিকর টিউমারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই দেশকে টাকা পাচারের দেশ ও হরিলুটের দেশে পরিণত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনভাবে কিছু লিখতে আর পড়তে দেওয়া হতো না। যেই সমাজে স্বাধীনভাবে কিছু লেখা আর পড়া যাবেনা সেই সমাজে তো গুণ্ডা বদমাশই তৈরি হবে। বই পড়ার সংস্কৃতি যতই গড়ে উঠবে ততই সমাজ জ্ঞানের আলোয় পরিস্ফুটিত হয়ে একটি আলোকিত সমাজের দিকে ধাবিত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব প্রফেসর ড. মো.এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।