প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৮ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০০ পিএম
গণমাধ্যম সংস্কার কমিটির নামে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ১২ দলীয় জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে জোটের সভায় এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সভায় দেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, সমসাময়িক রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় গত ২২ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে গণমাধ্যম সংস্কার কমিটি নামে যেই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলের অনুমোদনকৃত টিভি চ্যানেলের মালিক এবং পলাতক ও খুনের মামলার আসামিদেরকে সংস্কার কমিটিতে রেখে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন জোটের নেতারা।
তারা বলেন, বিগত সরকারের দোসররা এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে থেকে বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিটির তালিকা প্রণয়নকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার গ্রহণের জোর দাবিও করেন তারা।
তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বর্তমানে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি শক্তি অত্যন্ত সুকৌশলে কাজ করে যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও মনোবল নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। কারো কারো হঠকারিতা উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অর্জিত বিজয় যেন নস্যাৎ না হয় সে বিষয়ে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় ন্যূনতম সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং ২০১৮ ও ২৪ সালের পাতানো নির্বাচনের দোসরদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়। ফ্যাসিবাদের উচ্ছিষ্টভোগী রাজনৈতিক দলসমূহকে আগামী নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
১২ দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।