প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৪ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত
‘নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো চাচ্ছে বিএনপি’ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এমন মন্তব্যে করেছেন। তার এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ইদানিং কথা বলার সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ বলছে, বিএনপি নাকি এক-এগারোর পাঁয়তারা করছে। যারা এসব বলছে তাদের বলছি, এক-এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করেনি। যদি এ ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন, তাহলে এ দেশ গণতন্ত্রের মুখ দেখবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পর্যন্ত এক-এগারোর নির্মম রোষানলে পড়েছিলেন।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, দেশবাসীকে ঠকানোর পাঁয়তারা করবেন না। আমাদের ভারতের দালাল বা আওয়ামী লীগ বানানোর চেষ্টা করবেন না। চক্রান্ত না করে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করুন।’
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন নতুন একটি দল হচ্ছে। বিএনপি এটা নিয়ে জেলাস বা ঈর্ষা করছে। এই কথা যারা বলেন তারা জাতির শক্র। দল হবে, নতুন দল হবে কিংবা হবে না, যারা করবে তাদের ওপর নির্ভর করবে। দল ঘোষণার পর বিএনপির ভূমিকা কী থাকবে, সেটা দেখবেন। স্বাগত জানাই যারা দল করবেন, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনা করবেন, প্রয়োজন পড়লে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু ওই সমস্ত উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশ–জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। তবে যারা বিএনপিকে ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন তাদের পরিণতি খুব ভালো হবে না।’
জিয়া পরিবার সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, এই পরিবারের ত্যাগ যদি জাতি ভুলে যায়, এটা ঠিক হবে না। এই পরিবারের প্রতি অন্যায় করা হবে। কোকো মারা গেলেন। তার বড় ভাই দেশত্যাগী। মা এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন। আজকে অনেকে জিয়া পরিবারের অবদানকে অবজ্ঞা করছেন। এই অবজ্ঞা শুধু জিয়া পরিবারকে নয়, দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা। আমি এখনো বিশ্বাস করতে চাই, খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনের মাধ্যমে সুস্থ্ সবল মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। অর্থাৎ খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অর্থ হলো এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া।’
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদী, মাহবুব আলম, মসিউর রহমান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব এহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী, সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিল আউয়াল, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ।