প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২১ পিএম
দেশে ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরে ইসলামিক দলগুলো পাহারাদারের কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমির ড. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে মন্দিরেও যেন পাহারা না দিতে হয়। সবাই যে যার ধর্ম পালন করবে। আমরা ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাব।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মসলিজের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
সকালে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন খেলাফত মসলিজের উপদেষ্টা ও সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন- সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব উদ্দীন খোকন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চরমোনাই পীর রেজাউল করিম, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, আর যেন ইসলামিক দলগুলোর মাথার ওপর কেউ কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্রদের আমি স্যালুট জানাতে চাই। আগামীর বাংলাদেশ তাদের হাতে তুলে দিয়ে আমরা পেছন থেকে সহযোগিতা করতে চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাড়ে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জাতীয় নেতাদের অপমান করেছে, লাঞ্ছিত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। সব থেকে আক্রোশ মিটিয়েছে ওলামা একরামদের ওপর।
জামায়াত আমির বলেন, দেশের মানুষকে অপমানিত করা হয়েছে। হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামকে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কোরআনের হাফেজদের নির্বিচার গুলিকে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনা দেশবাসী কখনো ভোলেনি এবং ভুলবে না। এটাকে নিয়ে কত উপবাস করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বের চেয়ারে বসে তিনি বলেছেন সেখানে রক্ত নয় রং ছড়ানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় ৫৭ জন চৌকস সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর তারা জামায়াত ইসলামকে বেছে নিয়েছে। আমাদের ১১ জনকে তারা হত্যা করেছে। এভাবে আলেম-ওলামাকে এত বেশি লাঞ্ছিত করা হলো এর শেষ নাই। আওয়ামী লীগ এদেশের হাজার-কোটি মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, জুলুম করেছে। একজন ভিক্ষুকের ওপরও জুলুম করেছে।