প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৬ পিএম
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবা ফটো
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বলছেন- নির্বাচনই তো গণতন্ত্র নয়, অবশ্যই নয়। তবে গণতন্ত্র অর্জনের জন্য তো একটা প্রক্রিয়া লাগবে, সেই প্রক্রিয়ায় না গেলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ, অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মধ্যে থেকে সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত কিছুটা হলেও সামনে এগিয়ে যায়। আজকে খুব দূর্ভাগ্য, ৫৩ বছর হয়ে গেছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা পরিবর্তনের একটা সিস্টেমও আমরা তৈরি করতে পারিনি।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করা নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেই কাজটাই আমাদের করতে হবে; যেটি করা আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা যারা মনে করেছি ফ্যাসিবাদের পতন হওয়া দরকার, ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনমানুষের উপযোগী একটা রাষ্ট্র, সমাজ নির্মাণ করা দরকার, তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই এটা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেটা করছে পতিত ফ্যাসিবাদ। আমরা যারা পক্ষে ছিলাম, লড়াই করেছি তারা কেন বিভাজন সৃষ্টি করছি? আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা শুনলে ভয় হয়, আমরা এখনই পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ একটায় হওয়া উচিৎ, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য যে সংস্কারগুলো ন্যুনতম প্রয়োজন সেগুলো করে একটি নির্বাচন করে পার্লামেন্টে যাই।
ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, কাল রাতেই আমাকে কয়েকজন ফোন দিয়েছেন, তাদের একটাই মাত্র প্রশ্ন ইসকনের ব্যাপারে আপনারা কি করছেন? এই প্রশ্নটা একেবারেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। প্রথমবার ফেইল করেছে এখন আবার নতুন করে সে অবস্থাটা সৃষ্টি করতে চায়। এই ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে যেটা প্রয়োজন, সবাইকে শান্ত থেকে, বিষয়গুলো অনুধাবন করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে আগানো, এছাড়া আর কোন পথ আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের পক্ষে একটা জিনিসই সম্ভব, আমরা সবাই একটা লক্ষেই এগিয়ে যায় সেটা হচ্ছে একটা গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা নির্মাণ করি।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আহবায়ক মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বকারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ রাশেদ খান প্রমুখ।