× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ফের দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৪ পিএম

ফের দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

পতিত স্বৈরাচাররা পেছন থেকে আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের চারদিকের অবস্থা দেখে অনেকে একটু আতঙ্কিত হচ্ছেন, উদ্বিগ্ন হচ্ছেন... এগুলো কি হচ্ছে? আসলে আপনাদের বুঝতে হবে আমাদের সেই শত্রুরা যারা সামনে থেকে চলে গেছে, পেছনে থেকে তারা দেশকে আবার অস্থির করে তুলছে। এখানে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্য আমাদের, মানুষেরা কেনো জানি না সহনশীলতার অভাব হয়ে গেছে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে গত দুই দিনে রাজধানীতে সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ সব কথা বলেন। হোটেল লেকশোরে ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স এন্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ এই সরকার ফেল করলে অভ্যুত্থান ফেল করে যাবে, বিপ্লব ফেল করে যাবে… আমরা আবারো সেই অন্ধকারে চলে যাব। সুতরাং এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার মনে হয় আপনাদের পজেটিভ চিন্তা করা প্রয়োজন।’

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় আঘাত রুখতে হবে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা বিষয় আমি বলতে চাই, দুর্ভাগ্যক্রমে আজকে একটা ভয়াবহ কাজ শুরু হয়েছে সংবাপত্রের ওপর আঘাত, স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আঘাত। যার জন্যে আমরা সব সময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তিনি প্রথম সংবাদপত্রকে মুক্ত করেছিলেন। সেদিন বনিক বার্তার সম্পাদক আমাকে বলছিলেন যে, আপনারা এই বিষয়টাকে জোরে বলেন না কেনো যে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছে খালেদা জিয়ার সময়ে… বিএনপির সময়ে…. এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যখন দেখছি, কিছু সংখ্যক হঠকারী, কিছু সংখ্যক উসকানিদাতা বিভিন্নভাবে এই সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে, যেটা কোনো মতেই সচেতন মানুষের, দেশপ্রেমিক মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি অনুরোধ জানাব, অনুগ্রহ করে এই ভয়াবহ আত্মহননের কাছ থেকে সরে আসুন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করুন।’

‘ধৈর্য ধরতে হবে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যেসব কোমলমতি বালকেরা, ছাত্ররা তারা যেসমস্ত কাজ করছে তাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের পক্ষে সব কিছু একসঙ্গে করে ফেলা সম্ভব নয়। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সংস্কার করতে হবে, আমরা সংস্কারবিরোধী নই। সংস্কার করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কেন নির্বাচনে যেতে চাই এই কথা আমি বারবার বলেছি। নির্বাচন ছাড়া এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়, এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’

‘একমাত্র নির্বাচিত সরকারই পারে এই সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে। অন্তত তার পেছনে যে জনশক্তি থাকে, যে ম্যান্ডেট থাকে সেই ম্যান্ডেট নিয়েই সেটা তার পক্ষে করা সম্ভব হবে,’ যোগ করেন ফখরুল।

‘তারেক রহমান জীবন্ত ইতিহাস’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রায় সব সময় এই কথাটা বলি যে, ইচ্ছা করলেই চেষ্টা করলেই কাউকে ম্লান করে দেওয়া যায় না, উড়িয়ে দেওয়া যায় না, ইতিহাসকে বিকৃত করা যায় না। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো যুদ্ধ করতেন প্রথম দিকে। সেই যুদ্ধের সময়ে তিনি বাতিস্তার হাতে গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারের পরে তার বিচার হলো সেখানে ১২ বছর সাজা হয়েছিল। সেই সময়ে কাস্ত্রো বিচারকদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, কনডেম মি ডাজেন্ট মেটার… হিস্ট্রি উইল এবজোরড মি… আমাকে তোমরা এখন কনডেম করতে পারো কিন্তু ইতিহাস আমাকে ধারণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘সেই ইতিহাস ধারণ করেছে জিয়াউর রহমানকে, বেগম খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে। ইনশাল্লাহ, জীবন্ত ইতিহাস তারেক রহমান… আমাদেরকে আলোকিত বাংলাদেশে দিকে তিনি নিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান, চারু  কলা ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার,  উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, গবেষক মোবাশ্বর হোসেন, শরীফুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবী আমিন, আনোয়ার হোসেন খোকন, সেলিম রেজা, শামা ওবায়েদ, আফরোজা আব্বাস, বাসস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, কূটনীতিক ও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা