লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৪ পিএম
শনিবার দুপুরে বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। প্রবা ফটো
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকারি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা ও সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত আমরা তা নিশ্চিত করতে পারব না, ততদিন আমরা দুর্বল জাতি হিসেবে থাকব। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বত্মক সহযোগীতা করছি। কোনোভাবেই এ সরকারকে ফেল করতে দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ফেল করলে আমাদের বিপদ আছে। এ বিপদ থেকে বের হতে আমাদেরকে এক ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়ত এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ্যানি আরও বলেন, যিনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গিয়েছেন। তিনিতো রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার সম্মানটাতো তিনি নিতে পারেননি। তিনি গণশত্রু ও জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুছকে সম্মান দিতে পারেননি। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে সাজা দিয়েছেন। যার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এ দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি তার পিতাকে সম্মান দিতে পারেনি। দলকে সম্মান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষকেও সম্মান দিতে পারেনি বলেই তিনি গণশত্রুতে পরিণত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন আশা-আকঙ্খা, নতুন ভবিষ্যৎ ও নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশের কারিগর হলেন এই শিক্ষক ও ছাত্ররা। আমরা সবাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে উঠে পড়ে লেগেছি। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে শহীদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা।
বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন মহাসচিব ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আব্দুল্লাহ ও ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম শামীম প্রমুখ।
সম্মেলেন অতিথিদের কাছে বিএমজিটিএ নেতারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হল— মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। শূন্যপদে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকের বদলি ব্যবস্থা চালু করা। সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত অষ্টম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়। সরকারী নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা। ১৬ বছরে সকল প্রভাষকদের সহকারি অধ্যাপকে পদোন্নতি এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেয়। ইএফটিরি মাধ্যমে বেতন প্রদান করা। মাদরাসার সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়ম গৃহঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিকাল শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদরাসার প্রশাসনিক অন্তত একটি পদে জেনালে শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া।