× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকায় আশাহত নেতারা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৩১ এএম

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৩৮ এএম

নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকায় আশাহত নেতারা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য না করায় আশাহত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবেÑ প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্য নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা।

অন্যদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গতকাল সোমবার বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচন দেওয়া এই সরকারের কাজ নয়। ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।’ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

তবে রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। সংস্কারকাজ হচ্ছে এরই অংশ। নির্বাচিত সরকারের সর্বোচ্চ মেয়াদের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও ক্ষমতায় থাকার যে ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।’ নেতারা সংস্কারকাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাত্রা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  

প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও (রূপরেখা) পাওয়া যাবে। নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। তবে সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে।’ 

একই দিন কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সময়সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত। 

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে ধারণ করা ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ মানুষ আরও দ্রুত সময়ে সরকারের পরিবর্তন চায়। কাজেই এটা (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ) নিশ্চিতভাবেই চার বছরের কম হবে। আরও কম হতে পারে। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে মানুষের চাওয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার ওপর।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায় এটা (সংস্কার) বাদ যাও, নির্বাচন দাও। আমরা সেটাই করব।’

আশাহত বিএনপি  

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার রবিবারের ভাষণে নির্বাচনের রোডম্যাপের কথা না থাকায় তারা আশাহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘একটা ক্রান্তিকাল আমরা পার করছি। কালকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় একটা ১০০ দিনের পূর্তির বক্তব্য রেখেছেন। বক্তব্য ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘রূপরেখার কথা বলছি, কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক তা ইমম্যাটেরিয়াল।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলে আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে যাচ্ছে, যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে যারা সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে দিতে চাচ্ছে, তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের (নির্বাচিত সরকার) পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে।’ 

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার আমরা চাই না শুধু, আমরা সংস্কার শুরু করেছি। এজন্য এই সরকার অনেক কমিশন গঠন করেছে। তাদের প্রতি আমাদের এবং জনগণের আস্থা আছে। কিন্তু আমরা চাইব, সেটা দ্রুত শেষ করে, নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা আলোর দিকে এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুই বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কারের কথা বলেছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই। তবে সেই সময়টা যেন অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয়, যেন মনে না করা হয় যে তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবে।’ নির্বাচন যত দেরি হবে, ততই বিতর্ক সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেরি হলে বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে।’

বক্তব্য আরও স্পষ্ট করার অনুরোধ করব : জামায়াতে ইসলামী

প্রধান উপদেষ্টার গত রবিবারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা মনে করি, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার। সবকিছু সংস্কার করা তো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু জরুরি সংস্কার, যেমন নির্বাচন কমিশন সংস্কার, বিচার বিভাগের সংস্কার, সংবিধানের কিছু বিষয়ে সংস্কারÑ এসব জরুরি সংস্কার করেই তাদের উচিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া। সরকারপ্রধানের বক্তব্যে আমরা আশাহত নই- তার বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ করব।’ 

এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশমালা দিতে পারবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সরকার সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করতে পারবে। এ রকম হলে তো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বেশি দেরি হওয়ার কথা নয়।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কারকাজগুলো শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে যাত্রা করতে হবে।’

জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন কমে আসছে : বাসদ 

‘রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না ভেবে সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটা সমঝোতা ও ঐকমত্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যতটুকু সংস্কার করা দরকার, ততটুকু করে নির্বাচন দিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত।’ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। 

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘তিনি (ড. ইউনূস) বলে দিলেন, আগামীতে সরকারের মেয়াদ চার বছর করা হবে। যেহেতু নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর করা হবে, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ চার বছর বা তার চেয়ে কিছু কম হবে। এটা মগের মুল্লুক নাকি? চেয়ারে বসে নামবে না। জনগণ কিন্তু এগুলো মানবে না। জনগণ এরই মধ্যে বিরক্ত হতে শুরু করেছে। জনগণের যে অভূতপূর্ব ও অপূর্ব সমর্থন ছিল এবং সকল রাজনৈতিক দলের যে সমর্থন ছিল তা কিন্তু উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে কমে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘এই অনির্বাচিত সরকার যত বেশি দিন থাকবে পরিস্থিতি ততই জটিল হবে এবং সংকটগুলো আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই একটি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রণ নিশ্চিত করতে যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটুকু করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলটির মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে যা বলেছেন তা অস্পষ্ট। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চালু হয়েছে। আবার বলেছেন, রেললাইন বসানোর কাজ চলছে। এ কথা বুঝলাম না।’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চার বছর থাকতে চায় প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ‘এ কথা দ্বারা তিনি কী বোঝাতে চান? জনগণ এটা মেনে নেবে না। একটি নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও ক্ষমতায় থাকা নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।’

আলজাজিরা আর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের বক্তব্য এক নয় : নাগরিক ঐক্য

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আলজাজিরায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য রেখেছেন তা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নেই। তাই চার বছরের মধ্যে নির্বাচনের যে কথা তিনি আলজাজিরাকে দিয়েছেন তাতে আরও বিভ্রান্তি বাড়বে। গণতন্ত্র উত্তরণে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেওয়া হবে ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল হবে।’

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করুন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের পথনকশার বিষয়ে যে ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক বার্তা থাকবে বলে তারা প্রত্যাশা করেছিলেন. বাস্তবে সেরকম ঘটেনি। আলজাজিরার কাছে সাক্ষাৎকারে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেও নির্বাচন নিয়ে বাস্তবিক প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। এতে নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। জনগণের মধ্যে ধারণা জন্মাতে শুরু করেছেÑ এই সরকার হয়তো অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চাইছে।’

সরকার চার বছর ক্ষমতায় থাকতে চাইছে : জাতীয় দল

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলজাজিরায় নির্বাচনের একটা টাইম ফ্রেম বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি সেটা কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। আসলে এই সরকার চার বছর কিংবা সাড়ে চার বছরের মতো ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। কিন্তু এই অনির্বাচিত সরকারকে সেই ম্যান্ডেট কে দিল? তারা মৌলিক কিছু সংস্কার করে সরাসরি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেÑ এটাই তাদের প্রত্যাশা।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা