সেলিম আহমেদ
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৩ এএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
জাতীয় পার্টি। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিকভাবে জাতীয় পার্টিও দৃশ্যত ধরাশায়ী হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ দলটির কার্যক্রমকে অনুমোদন করা হলেও এবং রাজনৈতিক সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমানে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এ কারণে দলটিকে এড়িয়ে চলা হচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনাকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করছে বিএনপি। এদিকে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরেও রয়েছে নানা বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব, যা প্রতিনিয়ত দলের ঐক্য ও সংহতিতে টান দিচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজনীতির জটিল সমীকরণের জালে জাতীয় পার্টির এখন চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার দশা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা বলছেন, জাতীয় পার্টি সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর’। তাই রাজনীতিতে তাদের কোণঠাসা বা অকার্যকর করতে হবে। একই বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারও দলটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে না। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সাম্প্রতিক সংলাপে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলো তো বটেই, জাতীয় পার্টিকেও অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হয়নি।
এরই মধ্যে গত শনিবার জাতীয় পার্টি নানা দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে গত বৃহস্পতিবার দলটির প্রধান কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’। এ ছাড়া বিতর্কিত বিগত তিন নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টিকে দায়ী করে তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধের দাবি করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে দূরত্ব
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে পর বিপাকে পড়ে জাতীয় পার্টি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়নি দলটির। সরকার নানা বিষয়ে তিন দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আপত্তির মুখে ডাক পায়নি জাপা। যদিও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই বলে আসছেন, তারা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তাদের নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের ঐক্যমোর্চার সংগঠকরা। তারা দলটিকে আখ্যায়িত করছেন ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে।
এরই মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের মতবিনিময় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রংপুর জাতীয় পার্টি তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। এই ঘোষণার মধ্যেও অবশ্য সারজিস আলম রংপুরে এক সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে তিনি জাতীয় পার্টির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা রাজপথে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের গুঁড়িয়ে দিতে পারি।’
এদিকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ঢাকায় সংঘটিত দুটি হত্যা মামলায় জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদের এবং দলটির মহাসচিবসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়। এ নিয়েও এখনও উভয়পক্ষে চলছে উত্তেজনা। এর প্রতিক্রিয়ায় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। এই অন্যায় আমরা মেনে নেব না। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করব।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ছাত্র আন্দোলনের করা রিটেও জাতীয় পার্টির নাম ছিল। কিন্তু রিটটি পরের দিনই প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদিও গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ (এনডিএম) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করার দাবি করছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিজয়নগরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা। শুধু ঢাকা নয়। ঢাকার বাইরেও খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর গত শনিবার নিজের ফেসবুকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় পার্টিকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট : কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয় না।’
ঐক্য চায় রওশন এরশাদপন্থিরা, বাকিদের না
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় পার্টির ভাগ হওয়া কয়েকটি অংশকে জোড়া লাগাতে কয়েকদিন বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন রওশন এরশাদপন্থি শীর্ষ নেতারা। কিন্তু এতে সাড়া মেলেনি বিভিন্ন পক্ষের নেতাদের তরফ থেকে।
সূত্র জানায়, রওশনপন্থি অংশটি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (এমএ মতিন), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (বিজেপি) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকেও (জেপি) এই ঐক্যপ্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে চেয়েছিল। রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদসহ শীর্ষ নেতারা এসব অংশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি ওইসব অংশের নেতারা।
এদের অভিযোগ, অতীতে রওশনপন্থিরা আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত সময়েও রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। আগুনে ভস্মীভূত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী টোল প্লাজায় গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের দোষারোপও করেন। এখন রওশনপন্থিদের সঙ্গে ঐক্য গড়লে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই তারা ঐক্যের প্রশ্নে একমত নন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা জেল-জুলুমের শিকার হয়ে রাজনীতিতে আছি। এখন পচা দোসরদের সঙ্গে কেন যাব? বরং তাদের কেউ আমার দলে আসতে চাইলে নেব কি না চিন্তা করব।’
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) অংশের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাছ খান বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে ঐক্য করার জন্য যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে ঐক্যের কোনো চিন্তা আমাদের নেই। আমরা তাদের বদনামের ভাগীদার হব কেন?’
প্রসঙ্গত, নানা মতানৈক্যে জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ছয়বার ভেঙেছে। এর মধ্যে এরশাদের জীবদ্দশায়ই দলটি পাঁচবার ভাঙনের মুখে পড়ে। এই ছয় গ্রুপের মধ্যে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ও রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। এর বাইরে নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আর ডা. এমএ মতিনের নেতৃত্বে গড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (প্রতীক কাঁঠাল) অনেকটাই অস্তিত্বহীন।
যে কারণে সমালোচিত জাপা
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় পার্টি। ওই বছরের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। দলটির ভোটের হার ছিল ৬৬.৩১ শতাংশ। ওই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও অংশ নেয় আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল। এরপর ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করেছিল। ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মুখে পতন ঘটে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের। এরপর থেকে এ দলের জনপ্রিয়তায় দিন দিন ভাটা পড়তে থাকে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক তৎপরতা সাধারণ গতিতে চললেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে ধরা খায় দলটি। আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এ নির্বাচনের আয়োজন করে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত, বাম জোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করে। এ নির্বাচনে ৩৪টি আসন নিয়ে বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের হয়ে জাতীয় পার্টি ২৫টি আসনে জয়ী হয়ে সংসদে ফের বিরোধী দল হয়। এ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট ভরাডুবির কবলে পড়ে। বিএনপি পায় মাত্র ৭টি আসন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬টি আসনে সমঝোতা করলেও জাতীয় পার্টি জয়ী হয় মাত্র ১১টিতে। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করে।
সর্বশেষ তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দশম ও দ্বাদশ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিলেও নানা নাটকীয়তার পর অংশগ্রহণ করে। আবার জয়লাভের পর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ নানা সুবিধা নিয়েছে। এমনকি ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দলের দায়িত্বও পালন করেছে এ দল। এই দুই নির্বাচনে দলটি অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ সরকার অনেকটাই চাপে পড়ত। নির্বাচনে বৈধতা পেতেও বেশ বেগ পেতে হতো। জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আয়োজিত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে। কিন্তু দোসর কীভাবে, এর কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। ২০০৮ সালে নবম সংসদে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করেছি। কিন্তু উনার (শেখ হাসিনার) অপকর্মে আমরা একাত্ম ছিলাম না। এটা প্রমাণিত। আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংসদ নির্বাচনে না গেলেও একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এতে কি সরকারকে বৈধতা দেওয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায়ই পড়ে না। তারা সব সময় সুবিধাবাদী নীতি গ্রহণ করেছে। জনগণের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে সব সময় তাদের অবস্থান ছিল। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফ্যাসিস্টরা এখন তাদের এই দোসরের মাধ্যমে দেশে পুনর্বাসন হতে চাচ্ছে। ফলে ছাত্র-জনতা তাদের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রুখতে হবে।’