প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪০ পিএম
নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই বিএনপি নেতা বিরোধে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে- এই বিরোধের জের ধরে মাদক মামলাও করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই বিএনপি নেতা হলেন- নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন এবং চুন্নু মিয়া সরাসরি অফিসে এসে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে- এই অজুহাতে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ব্যাটারি কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে আপোস রফায় গত ১০ অক্টোবর এবং ১৫ অক্টোবর দুই দফায় কারখানার অফিস থেকে ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ চাঁদা নিয়ে যান তারা। কারখানার ভেতরে অবস্থিত সিসিটিভির ফুটেজে চাঁদা নেওয়ার দৃশ্য রয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আদায়কৃত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ফারুক হোসেনের সঙ্গে চুন্নু মিয়ার বিরোধ বাধে। এই বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষণখোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন চুন্নুর অফিসে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ফারুক হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু, রাজু, বাবুসহ ১২ জনকে মাদক কারবারি বানিয়ে বন্দর থানায় এজাহার দায়ের করেন চুন্নু মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডংজিন ব্যাটারি কারখানা থেকে আদায় করা ১০ লাখ চাঁদাবাজির টাকার বেশির ভাগ অংশই চুন্নু মিয়া নিজের কাছে রেখে দেন। এতে ফারুক হোসেনের সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। মামলার এজাহারে স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী সাজু, রাজু ও বাবুকে আসামি করে ভিন্নভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন চুন্নু মিয়া।
এ বিষয়ে চুন্নু মিয়া টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে মাদক কারবারে জড়িত। এ ছাড়া মামলার এজাহারে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। ১ নভেম্বর মাদকবিরোধী শোডাউন করায় ফারুক হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা চুন্নু মিয়ার অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।
ডংজিন ব্যাটারি ফ্যাক্টরি থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি।