প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৬ এএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৩ পিএম
সোহেল তাজ ও সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি কোলাজ : প্রবা
মাস্টারমাইন্ড। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, সর্বক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে এই মাস্টারমাইন্ড শব্দটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এর শুরু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে মাহফুজ আলমকে বিশ্ববাসীর সামনে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার পর থেকে।
এবার ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল তাজ। নিজের ফেসবুকে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রিন্স চার্লসের রাজা হওয়ার ঘটনা সামনে এনে স্ট্যাটাসে কী ইঙ্গিত দিলেন সোহেল তাজ। তবে কি পেছন থেকে সব কলকাঠি নেড়েছেন জয়, ওই স্ট্যাটাসের পর এমন প্রশ্ন ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। কেউ কেউ বলছেন, আসলে মাথা নষ্ট হয়েছে বঙ্গতাজের সন্তানের।
সোহেল তাজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন (বানান ও বাক্যরীতি অপরিবর্তিত), ‘আজকে পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন যে ছাত্র-জনতার অভুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাহেব বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়। আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এই গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে মাহফুজ- আশ্চর্য হবার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায় যে আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়- আমাদের সবার নিশ্চয়ই মনে আছে বেচারা প্রিন্স চার্লস-এর কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হবার জন্য।’
সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস নিয়ে অবশ্য তাৎক্ষণিক বিএনপি বা জামায়াতের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি ড. ইউনূস কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের তরফে। তবে শনিবার ভোররাতের দিকে করা তাজের পোস্টে রবিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত শত শত মানুষ কমন্টে করেছেন। শেয়ারও করেছেন হাজারের বেশি মানুষ। সুনির্দিষ্ট করে বললে ওই সময়ের মধ্যে ১৩ হাজার ২০০ কমেন্টস ও ১ হাজার ৪০০ শেয়ের পড়েছে এতে।
একজন কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘আপনাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জোর দাবি জানাইতেছি।’
মো. সালাউদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, একজন সাদা মনের মানুষ সোহেল তাজ ভাই। যিনি কোনো দলের দালালি করে না। শুভকামনা রইল প্রিয় ভাইয়ের জন্য।
আরিফা রহমান রুমা নামে একজন লিখেছেন, বঙ্গতাজের জন্য কষ্ট হচ্ছে। আপনার পরিবারের অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠ। আপনার প্রোপার চিকিৎসা কেন করাচ্ছে না, বুঝলাম না।
ইমন খান লিখেছেন, প্রতিটি মানুষকে তার কর্মফল ভোগ করতে হয়!