নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার
বাছির জামাল
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪২ এএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪৫ এএম
গ্রাফিক্স প্রবা
দেশে জাতীয় সংসদের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতির (পিআর) পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন বাড়ছে। মাঝারি এবং ছোট দলগুলো প্রায় সবাই এই পদ্ধতির পক্ষে। আওয়ামী লীগ শাসনামলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। তবে ক্ষমতাসীন ওই দলটি তাদের সময়ে এই পদ্ধতি সমর্থন করেনি। দেশের আরেক প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিও এখনও এই পদ্ধতির পক্ষে মত দেয়নি। প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করে তারাও নব্বইয়ের পর দুবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। এখনও তারা সেই পদ্ধতিরই পক্ষে। জাসদ-সিপিবি অনেক দিন ধরেই পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি করে আসছে। সম্প্রতি ধর্মীয় দলগুলোর মধ্যে প্রভাবশালী জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলনও এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করেছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, পাঁচ রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া গণঅধিকার পরিষদ (নুর) এবং এবি পার্টিও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কথা বলছে। এসব দলের নেতারা জানিয়েছেন, সংসদে সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা শ্রেয়। এতে রাষ্ট্রে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা পাবে।
বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানত দুটি ব্যবস্থা প্রচলিত। প্রথমত, একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট। এ পদ্ধতিতে বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়। অন্যটি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা বা ‘প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ (পিআর) সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে একটি দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে দলটির প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ হবে। ব্যক্তি নয়, দলের সার্বিক ভোট প্রাপ্তিতে নির্ধারণ হবে সংসদে আসন। অনেক দেশে এ দুটি পদ্ধতির সমন্বিত ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ মনে করেন, কোনো দল জাতীয় নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তারা সেই অনুপাতে আসন পাবে, এই পদ্ধতি সুশাসন নিশ্চিতেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন ভোটের হিসাবে প্রধান দুই দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য না থাকলেও সংসদে আসন সংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য হওয়ার কারণে ক্ষমতার কাঠামোতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে সেটি হবে না। তখন আদর্শভিত্তিক ছোট দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তারা বড় দলগুলোকে চাপ দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে জোট হবে নির্বাচনের পরে আর বড় দলগুলো ছোটদের শর্ত মেনেই সে পথে হাঁটবে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও তার বিদায়ি ব্রিফিংয়ে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, ‘বাংলাদেশের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন আদর্শ হতে পারে। পিআর পদ্ধতির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছেÑ এখানে নির্বাচনী অনিয়ম, অপকর্ম, সহিংসতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। নির্বাচনী কর্মকর্তা, পুলিশ বা প্রশাসনকে অবৈধ অর্থ দিয়ে পক্ষে টানা সম্ভব হয় না। প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয় না। নারীর সংরক্ষিত আসনে ভিন্নভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান আবশ্যক হবে না। নমিনেশন দাখিল কেন্দ্রীয়ভাবে হবে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের অন্যতম নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারও পিআর পদ্ধতির পক্ষে। তার সংগঠন ‘সুজন’ গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, এর অন্যতম হলোÑ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করা। এর আগের দিন ২৮ আগস্ট ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশও (টিআইবি) রাষ্ট্র কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে উত্থাপিত ৯টি কৌশলগত বিষয়ে সুপারিশ করে। সেখানেও অন্যতম ছিল পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। টিআইবি তাদের প্রস্তাবে বলেছে, জাতীয় সংসদে জনরায়ের বাস্তব প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। এর প্রক্ষিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় গত ৮ আগস্ট। এরপরই রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে রাষ্ট্র সংস্কারের। এ প্রেক্ষিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করার কথা জানান। এরই মধ্যে এসব কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত ৬টি কমিশনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গত ৫ অক্টোবর ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও অনেক দল পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার দাবি জানায়।
সম্প্রতি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী। হঠাৎ কেন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আনা হলো জানতে চাইলে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগে দাবি করিনি এর অর্থ এই না যে, এখন করা যাবে না। সংস্কার তো একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা মনে করি, বর্তমানে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যাবে। তা ছাড়া সংসদে তুলনামূলকভাবে ভালো ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমাবেশ ঘটবে।
জামায়াতে ইসলামী মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন হলে তাদের আসন বাড়বে বৈ কমবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও গত ৫ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে দলটির আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চাই। এ পদ্ধতিতে ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হবে। দল ও মার্কা থাকবে। এখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে, যার কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে। এখানে বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করার মতো কোনো বিষয় থাকবে না।
বিএনপির নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী জোট গণতন্ত্র মঞ্চও চায় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন। জোটটি ২০২২ সালের ৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেওয়া ঘোষণায় এ দাবিটি উল্লেখ করে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা গত ২০ বছর যাবৎ বলে আসছি। গণতন্ত্র মঞ্চের যে সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে সেখানেও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করব। সেই প্রস্তাবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কথা থাকবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমাদের দল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নির্বাচন চায়। এ বিষয়টি আমি সংসদেও উপস্থাপন করেছি। এ নিয়ে জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। এ পদ্ধতি ছাড়া সংসদে দেশের মানুষের সঠিক প্রতিনিধিত্ব থাকে না।’
দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে দক্ষ ও শক্তিশালী করা এবং সংবিধানের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী তাদের ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে আনুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানটাও জরুরি হয়ে পড়েছে। নব্বই দশক থেকে, বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের পর তৎকালীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আলোচনায় জাতীয় সংসদে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের কথা আছে। তখন থেকেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বামজোট আনুপাতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে সিপিবি প্রকাশিত পুস্তিকায়ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে এ বিষয়ে দলটির ব্যাপক প্রচার অব্যাহত রয়েছে।
তিনি মনে করেন, ‘আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি একবারে আমরা পুরো ৩০০ আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নাও করতে পারিÑ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে এখন দেড়শ আসনে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও বাকি আসনে প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন হতে পারে।’
গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, রাষ্ট্রে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি অর্জনের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নির্বাচন চাই। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রে যে সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়েছে, তার জন্য রাজনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন জরুরি ছিল। রাজনীতিতে সংস্কার না আনলে অন্য কিছুতে সংস্কার করে তেমন লাভ হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই ধরনের কমিশন গঠনের দাবিও করেছি। এর অংশ হিসেবে এই মুহূর্তে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন দরকার। সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তির ভিত্তিতে নয়, যেসব দল যত শতাংশ ভোট পাবে সেই ভিত্তিতে আসন নির্ধারিত হলে সংসদে সঠিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, বিএনপির সঙ্গে এক বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি আমরা তুলেছিলাম। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন। তবে তিনি বলেছিলেন, এখনও এ পদ্ধতিতে নির্বাচনের সময় আসেনি।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি এখন পর্যন্ত বিদ্যমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি বড় ধরনের একটি সিদ্ধান্ত। এমন ধরনের বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার।
তিনি বলেন, আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব আরও পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের সঙ্গে ছিল। চারদলীয় জোট সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তাদের দুজন। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে আমাদের দলকে টেনে নামাতেও মাঠে সক্রিয় ছিল। এখন তারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলেছে। অপেক্ষা করে আছিÑ এই দাবিতে তারা কতটা অটল থাকে।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরাও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে। আসলে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জাতীয় সংসদে আমাদের মতো নতুন দলগুলোরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এতে জাতীয় সংসদ হয়ে উঠবে সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বমূলক।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমদ বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলোর জন্য ভালো হবে। কারণ এতে জাতীয় সংসদের তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।