মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৬ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনগণের সরকার। জনগণ এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই জুলাই বিপ্লবে অসংখ্য ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে। তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশই আমার প্রথম ও শেষ ঠিকানা। এই দেশ ছাড়া আমার আর কোনো ঠিকানা নেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে দেশের গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি পরিবারের তালিকা তৈরি করে পরিবারের গৃহিণীর নামে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দিব। এই ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিটি পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে, যাতে করে পরিবারগুলো তাদের সঞ্চয় বাড়াতে পারে।’
কিশোরগঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কিশোরগঞ্জ সম্ভাবনাময় একটি জেলা। এই কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে বোরো মৌসুমে ব্যাপক ধান উৎপাদন হয়, যা দেশের মোট ধান উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। এই কিশোরগঞ্জের হাওরে বিপুল পরিমাণ মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায়, যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে বেলা ৩টায় এ গণসমাবেশ শুরু হয়।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল প্রমুখ।
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জে জনসভা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর আর জেলায় বড় কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি দলটি। এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার জনসভা হলো।