প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৫৬ পিএম
প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। প্রবা ফটো
দখলবাজ-চাঁদাবাজদের ‘দুষ্কৃতকারী’ অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশটা আমাদের। চারপাশে কিছু মুখোশধারী বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, এরা দুষ্কৃতিকারী। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এদেরকে ঠেকাতে হবে, এদের ধরে পুলিশে দেন। এই জায়গায় কোনো আপোষ করা যাবে না। সে যেই হোক তাকে মানুষের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে এই দুবৃর্ত্তায়ন যারা করে গেছে তাদেরকে আমরা ১৭ বছর এদের বিরোধিতা করেছি। সেই দুর্বত্তদের সমর্থন করার কোনো সুযোগ নাই। যেখানে যে অবস্থায় পাবেন তাদেকে আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সবসময় সর্তক থাকতে হবে।’
গণতন্ত্রীদের অনেকেই মুক্তি পায়নি উল্লেখ করে শামসুজ্জামান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের প্রতীক। এই ভিন্নতা যারা মাথায় না নিতে পারবেন তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি হচ্ছে কি হবে এটা ব্যাখ্যা করে সামনে এগুতে পারবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে সরকার, আমরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আড়াই লাখ মামলার অধিনে ৬০ লাখ আসামি আছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, অনেকে জেলে আছে, যাবজ্জীবন, ফাঁসির অর্ডার নিয়ে জেলে আছে তারা এখনো মুক্তি পাইনি।’
তিনি বলেন, এদের মামলা যতক্ষণ প্রত্যাহার না হবে, এদের মুক্তি যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ ধরেই নিতে হয়, এই সরকারের বড় দাগের কোনো কাজ এখনও তারা সম্পন্ন করতে পারেনি। এই সরকার আমাদের সরকার, গণতন্ত্রের সরকার, আন্দোলনের সরকার, ছাত্র-জনতার সরকার তাহলে গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কাজ করছে তারা যদি মসিবতে থাকে, তারা যদি কষ্টে থাকে, তারা যদি এখনো নির্যাতনের মুখোমুখি হয় তাহলে এটা এই সরকারের জন্য খুব ভালো সংবাদ বয়ে আনে না। কারণ এই সরকার তো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্যে আমরা অধিষ্ঠিত করেছি।
দুদু বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, বন্যায় ভাসছি, আবার এখন নির্বাচনের দরকার কি? যারা যেমনে তারা তেমনই কথা বলতে বলে এটা আমার ধারণা। কিছু মানুষ আছে, কিছু দল আছে আমাদের সঙ্গে থাকলেও ১৯টা সিট পায়, আমাদের বেরিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে তারা তিনটা সিট পায়, তারা ভোট তো ভয় পাবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। সেজন্য ভোট ছাড়া, মানুষের ভোটিং পাওয়ার ছাড়া কোনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটা আমার জানা নেই।
সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেনে হৃদয়ের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মো. নেসারুল হক, কৃষক দলের ওবায়দুর রহমান টিপু, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।