প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৬ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৪:১৪ পিএম
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন। প্রবা ফটো
দেশে সংঘটিত গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে সংঘটিত সব গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে রাখা হতো, কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ১৯৭২-৭৫ সময়েও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। তখন থেকেই গুমের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে গত ১৫-১৬ বছরে দেশে সংঘটিত সব গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের বিচার করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এ সমন্বয়ক বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এ জাতির প্রাথমিক বিজয়-লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। যেদিন জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে; ফ্যাসিবাদী সরকার ও তাদের দোসরদের দুর্নীতি, লুটপাট ও ঋণখেলাপিদের বিচার হবে এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আসবে সেদিনই আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এজন্য আমরা তাদের চূড়ান্ত কোনো সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছি না। সরকারকে বলব, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আপনারা রাষ্ট্রকাঠামোর কী কী সংস্কার করতে চান, কখন নির্বাচন আয়োজন করতে চান অবিলম্বে তার একটা রোডম্যাপ প্রকাশ করুন।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার পরও অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। শেখ হাসিনা ভারতে বসে নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররাও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এটি দেশবাসীর প্রত্যাশা, জন-আকাঙ্ক্ষা। তাই ভারতকে বলব, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।
সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ মাজহারুল হক (মিঠু) প্রমুখ নেতা।