গণতন্ত্রের ধারা রচনায় নির্বাচনকে বিলম্বিত করা ঠিক হবে না

গণতন্ত্রের ধারা রচনায় নির্বাচনকে বিলম্বিত করা ঠিক হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার (২৬ আগস্ট) পার্টির পলিটব্যুরো লিখিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সরকার ড. ইউনূস দুই সপ্তাহ পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তার মনোভাব এবং একটি রোড ম্যাপের কথা বলেছেন, যা নির্ধারিত ভাবেই বলা যায় এটি জনআকাঙ্খা। এই অস্থির সময়ে তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছেন। জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো তাকে সহযোগিতা দিয়ে চলেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্কুল, কলেজে প্রতিপক্ষের পদত্যাগে চাপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, কলখারখানা থেকে খেলার মাঠ পর্যন্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।

আদালত প্রাঙ্গনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ওপর শারীরিক আক্রমণ, ভিত্তিহীন শত শত মামলা বিচার ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা তৈরি করছে। যার শান্তির পথকে বিঘ্নিত করছে। পুলিশ প্রশাসনের কাজ পুলিশ দিয়ে করার নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে।

পলিটব্যুরো আরও মনে করে, বিগত সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনি ব্যবস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন না করার ফলে জনগণের মধ্যে নির্বাচনি আকাঙ্খাটি প্রধান হয়ে উঠেছে এবং গণতন্ত্রের ধারা রচনা করতে হলে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই। গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং সংস্কার একটি পরিপূরক বিষয়। নির্বাচিত সরকারই পারে একটি রাজনৈতিক লক্ষ্য তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এদেশের প্রবীণ নেতা রাশেদ খান মেননের ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।  

জন্মাষ্টমীর এই দিনে সনাতন ধর্মের সকল মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো বলেছে, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্য, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে এদেশের সনাতনধর্মী সংখ্যালঘুরা জাতীয় ঐক্যে ভূমিকা রেখে চলেছেন। সকল ধর্মের মূল সুর মানবিকতা। সেই বানী আমরা স্মরণ রাখব।