প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৭:১১ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান কাজী জাফরের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রবা ফটো
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু তুলে ধরেননি। আশায় ছিলাম। নির্বাচন হতেই হবে। তবে সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হতে হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এখনও বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। কারণ গণতন্ত্রে উত্তরণের বিষয়গুলো অস্পষ্ট আছে। আমরা আশা করেছিলাম যে প্রধান উপদেষ্টা (জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে) একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করবেন। কিন্তু তার বক্তব্যে আমরা গণতন্ত্রের দিকে যাওয়ার সেই রোডম্যাপ খুঁজে পাইনি।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তৃতায় কিছু সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন, কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না।
তবে ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে পরিস্থিতি জনগণের স্বার্থে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ড. ইউনূস সঠিকভাবে বলেছেন, নির্বাচনের সময়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি অবশ্যই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দ্বারা নির্ধারিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।
প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির (জাফর) একটি অংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
তিনি অবশ্য বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়টি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ।