প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৫ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:২১ পিএম
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন একটা গণজাগরণ শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছে। অভিভাবক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষ, সব ধরনের মানুষে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তারা যুক্ত হয়েছেন সব ভয়কে উপেক্ষা করে। এটাই হচ্ছে, এবারকার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দিক। মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছেন। সে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।’
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বনানীতে দলের স্থায়ী কমিটির কারাবন্দি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এরকম মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এই আন্দোলন তার বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। আমি বিশ্বাস করি ইনশাল্লাহ জনগণের বিজয় অবশ্যই হবে, ছাত্র-শিক্ষার্থীদের বিজয় অবশ্যই হবে।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে আমাদের শুধু সমর্থন নয়, সব রকমের সহযোগিতা তাদের প্রতি থাকবে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এটা। সেজন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব-কর্তব্য সেই দায়িত্ব-কর্তব্য আমরা পালন করছি, আমরা করতে থাকব। আমাদের সারা দেশে সব দেশের নেতাকর্মী প্রতি এই আহ্বান জানাতে চাই যে, ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছিলাম, তরুণদের জাগ্রত হওয়ার কথা। সেই তরুণরাই এবার জেগে উঠেছে। এজন্যই আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। ছাত্রজনতাকে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়েছে। আমি পত্রিকায় দেখলাম, ৫৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও তো হারিয়ে যাচ্ছে, চিন্তাই করা যায় না এটা।’
মির্জা ফখরুল কারাগারে যারা আছেন তারা মানবেতরভাবে থাকছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘যাদের গত এক মাসের মধ্যে বন্দি করেছে তারা সেখানে মানবেতরভাবে দিনরাত অতিবাহিত করছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই, তারা কোনো কিছু পাঠাতে পারছেন না, যোগাযোগই করতে পারছেন না, এটাকে আপনার টোটালি আইসোলেটেড বলা যায়।’
মির্জা ফখরুল বেলা ১১টায় বিএনপি মহাসচিব প্রথমে যান বনানী ডিওএইচএসে দলের কারাবন্দি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বাসায় তার অসুস্থ স্ত্রী কান্তা ইসলামকে দেখতে। এই সময়ে তার ছেলে অনিক খান, স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রাখি খান ছিলেন।
পরে বনানীতে কারাবন্দি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর স্ত্রী তাহেরা খসরুর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময়ে তার ছেলে ইসরাফিল খসরু ছিলেন। মহাসচিব তাদের খোঁজখবর নেন।
গত ২১ জুলাই নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাদের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।
দুই নেতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ও মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।