প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
সংসদে পাস হওয়া ২০২৪ সালের অর্থবিল প্রত্যাখ্যান করে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, ‘ভোট জালিয়াত ও দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী সরকারের জনগণের ট্যাক্স খরচ করার এবং বাজেট দেওয়ার নৈতিক কোনো বৈধতা নেই। জনগণ একদিন এই ডামি সরকারের বিচার করবে।’
সোমবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এবি পার্টির আহ্বায়ক বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ভোট চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ তারা যদি আমাদের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ করে তাহলে যা হওয়ার তাই হবে। এ সরকারের ল্যাসপেন্সাররা আমাদের ব্যাংক, শেয়ারবাজার, রিজার্ভ সব একটা একটা করে খেয়ে ফেলেছে।’
সরকারের মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্বশীল পদে যারা আছেন তাদের দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিজ নিজ সম্পদের বিবরণী দাখিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের কর্মচারীদের এত জমি, ফ্ল্যাট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর নগদ অর্থ তো অতীতে ব্রিটিশ লুটেরাদের হার মানিয়ে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে মন্তব্য করে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে এখন এই সরকার দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।’ এ সময় প্রতিবছর রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থাকা হাজার হাজার বেনজীর-মতিউর চুরি-দুর্নীতির যে নজির সৃষ্টি করেছে, তাতে এই দলের নাম এখন নতুন করে আওয়ামী লুটপাট লীগ রাখা উচিত।’
বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একদিকে জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংক থেকে আমানতকারীরা ঋণ ও এলসি সুবিধা পাচ্ছে না। ব্যাংকে রাখা আমানত পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে।’
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির, সদস্য সচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, ফেরদৌসী আক্তার অপি, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।