প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪ ১৯:২৭ পিএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪ ১৯:৩৮ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুদক স্বাধীন। সেই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। সাবেক সেনাপ্রধানও (আজিজ আহমেদ) যদি অপরাধী হন, তাহলে তার বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে দুদক।’
এ সময় আজিজ-বেনজীর ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কারণ সরকারের বিচার করার সৎ সাহস আছে। সরকার তাদের অপরাধ অস্বীকার করে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারপ্রধান আপসহীন।’
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আমলের আইজিপি আশরাফুল হুদা বা পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনূরের কি বিচার করেছে তারা? ৭৫-পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিক– যিনি অপরাধীকে অপরাধী মনে করেন। নিজের দলের কেউ হলেও। বেনজীরের বাড়ি তো টুঙ্গিপাড়া। তদন্তে কি বাধা দেওয়া হচ্ছে? অপরাধীর বিচার হতেই হবে, শাস্তি পেতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের অপরাধকে ঢাকার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা অপরাধীদের ক্ষমা করেছে। তাদের আমলে অপরাধীদের কোনো দিন কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। এখন তারা বলে তারেক রহমানকে কীভাবে শাস্তি দেবেন?’
এ সময় আইনের চোখে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক তো অপরাধের জন্য দণ্ড পেয়েছেন। দুদকের মামলায় নয় বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের কিছু টাকা বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে। অর্থ পাচারের মামলায় তারেক রহমানের সাত বছর সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এখন শাস্তির বাস্তবায়নটা করতে হবে। শাস্তি কার্যকরের জন্য তাকে দেশে ফিরে আনতে হবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার শাস্তি হতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে হত্যা, গুমের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে। এটা বিএনপি ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ভুলেনি। বিএনপির লোকেরা নিজেদের নেতা জামালউদ্দিনকে খুন-গুম করেছে।’
সরকার পরিবর্তন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের উপায় দুটি– একটি হলো গণ-অভ্যুত্থান, আরেকটা নির্বাচন। গণ-অভ্যুত্থান বিএনপির গলাবাজিতে ছিল, বাস্তবে ছিল না। গণ-আন্দোলনও তারা করতে পারেনি। যে আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত নয় সে আন্দোলন কখনও সফল হয় না। জনগণ সম্পৃক্ত ছিল না বলেই তাদের আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তারা বয়কট করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জনগণের অংশগ্রহণও ঠেকাতে পারেনি।’
এ সময় উপকূলীয় এলাকায় বাঁধভাঙা এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জলোচ্ছ্বাসের মুখে সব জায়গায় বাঁধ টিকে থাকবে সেটার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। ইচ্ছা হলেই কি এটি রুখা যায়? জলবায়ু পরিবর্তন এর বড় কারণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় এবং ঝড়ের গতির মাত্রাও বেড়েছে।’