মো. সাজ্জাদ হোসেন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪২ পিএম
জলময়ূর। নেউ বা পদ্মপিপি নামেও এ পাখিটি বাংলাদেশে পরিচিত। অদ্ভুতসুন্দর এ পাখিটির সংখ্যা বর্তমানে দেশে উল্লেখযোগ্য হারে কম। মূলত এদের আবাস হাওর, বিলসহ বিস্তীর্ণ জলাভূমি। ভাসমান পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে জলজ উদ্ভিদে থাকা পোকামাকড়, কচি পাতা ও বীজ খায়।
দেশের জলাধার কিংবা বিলগুলো সব বিলীন হয়ে যাওয়ায়, পুকুরে রূপান্তরিত করায় এ পাখিটি তাদের আবাস হারিয়েছে। বাধ্য হয়েই লোকালয়ে, মহাসড়কের পাশে স্থান করে নিচ্ছে। জলময়ূর, নাম ময়ূর হলেও তার সঙ্গে এদের কোনো মিল নেই। জলে কাটে জলময়ূরের জীবন। সারা দিন পদ্মপাতার ওপর ছোটাছুটি। পদ্মপাতার ওপর খড়কুটো দিয়ে এরা বাঁধে বাসা। পুরুষ জলময়ূর শব্দ করে স্ত্রীকে কাছে ডাকে। একসময় একে অন্যকে মানিয়ে নিয়ে ঘর বাঁধে। স্ত্রী জলময়ূর চারটি ডিম পেড়ে চলে যায়। এরপর ডিমের দায়িত্ব পুরুষ জলময়ূরের। টানা ২৬ দিন ডিমে তা দেয় পুরুষ জলময়ূর। একে একে ডিম ভেদ করে বেরিয়ে আসে ছানা। মাতৃহীন ছানাকে পরম মায়ায় বুকে আগলে রাখে বাবা ময়ূর। চিলসহ বিভিন্ন প্রাণী থেকে সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখে বাবা। দুই মাস পর্যন্ত বাবার কাছে থাকে শিশু জলময়ূর। এরপর প্রকৃতির নিয়মে মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে জীবনচক্রে তারাও বাবা-মা হয়ে বংশ বিস্তার শুরু করে।