ইআরএফে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ১৬:১৬ পিএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪ ১৬:৩৭ পিএম
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রবা ফটো
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী ছিল। তথ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। বর্তমানে সাংবাদিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এটি নষ্ট হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তথ্য উপাত্তের নৈরাজ্য চলছে। আগে অন্ধত্ব ছিল, এখন অপঘাত হয়েছে। ফলে পুরো ব্যবস্থাপনায় বৈকল্য চলে এসেছে। এতে কে উপকৃত হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। এর সর্বশেষ প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক নিষেধাজ্ঞা। সাংবাদিকরা সহায়ক শক্তি, তারা প্রতিপক্ষ নয়। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন প্রশ্ন হলো- এটি বাংলাদেশ ব্যাংক করেছে নাকি, গভর্নর ওপরমহল থেকে আদিষ্ট হয়েছেন?’’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে তারা কী বার্তা দিচ্ছে? এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। মূলত তথ্য লুকাতেই এমনটি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনও খেলাপি হইনি আমরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফা নিতে পারছে না। এয়ারলাইনস ব্যবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না। গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে।’
দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে। এ সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন সিপিডির এ সম্মানীয় ফেলো।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।